পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (ফাইল ছবি)

শিগগিরই গ্রেপ্তার হতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। এমনই দাবি করেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজ (পিএমএলএন) সিনিয়র নেতা এবং দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আয়াজ সাদিক।

এছাড়া বর্তমান আর্থিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানে এখনই নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার লাহোরের তাজপুরা এলাকায় গ্যাস পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দেশটির অর্থনৈতিক বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী আয়াজ সাদিক। সেখানে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইমরান খানকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।

একইসঙ্গে দেশের বর্তমান আর্থিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানে এখনই নির্বাচন সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতীয় এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত মন্তব্য করে আয়াজ সাদিক বলেন, ‘ইমরান খানকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

আয়াজ সাদিক বিচার বিভাগকে একটি পূর্ণাঙ্গ আদালত গঠনের অনুরোধ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি করা বিচারকদের বাদ দিয়ে এবং ইমরান খানের তোশাখানাসহ সকল মামলা প্রতিদিনের ভিত্তিতে শুনানি করে রায় দিয়ে দেওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, ইমরান খানের সব মামলা প্রতিদিন শুনানি করার সময় এসেছে। আয়াজ সাদিক বলেন, নির্বাচনের তারিখ দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়, শুধু যে প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচন পরিচালনা করার কথা তাদেরই তা করা উচিত।

পাকিস্তানের ফেডারেল এই মন্ত্রী অভিযোগ করেন, ইমরান খান তরুণ প্রজন্মকে অভদ্র হতে শিখিয়েছে। নিজের অহংকারের কারণে ইমরান খান পেশোয়ার ট্র্যাজেডি নিয়ে সরকারের সঙ্গে বসতেও অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে আইএমএফের সাথে ইমরান খান সরকারের চুক্তি পাকিস্তানের জনগণের জন্য একটি ফাঁদে পরিণত হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতায় জনগণের ওপর কোটি কোটি টাকার কর আরোপ করতে হতো, কিন্তু বর্তমান জোট সরকার কর কমানোর জন্য আইএমএফের সঙ্গে সফলভাবে আলোচনা করছে।

সরদার আয়াজ সাদিক বলেন, পিটিআই সরকার তার মেয়াদে কোনো উন্নয়ন করেনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ শিগগিরই দেশে ফিরবেন।

তিনি বলেন, পিটিআই ও ইমরান খান সামরিক বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগকে আক্রমণ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

টিএম