ভারতে বিবিসির দুটি দপ্তরে আয়কর বিভাগের তল্লাশি ইস্যুতে অবশেষে মুখ খুলেছে ব্রিটিশ সরকার। 

ঋষি সুনাক সরকার জানিয়ে দিল যে ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যম নিরপেক্ষ। তাদের পাশে আছে গোটা দেশ।  

গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির সাম্প্রতিক তথ্যচিত্রের কারণেই এই আয়কর হানা হয় বলে মিডিয়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভারতে বিবিসির দপ্তরে আয়কর হানার ইস্যুতে সুনাক সরকার এখনও নীরব কেন? ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির এমপি জিম শ্যানন। 

লেবার পার্টির এমপিরাও বলেন, এর আগেও ভারতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করায় তদন্তের উসিলায় সংবাদমাধ্যমকে হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। 
সুনাক সরকারের হয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দেন ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) জুনিয়র মিনিস্টার ডেভিড রুটলে। ভারতে আয়কর দপ্তরের তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে মন্তব্য এড়ালেও তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিবিসির পক্ষে দাঁড়ান। 

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা শক্তিশালী গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিবিসি আমাদের (সরকারের) আর্থিক অনুদানে চলে। তা সত্ত্বেও বিরোধী লেবার পার্টির পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করতে ছাড়ে না তারা। বিবিসির সেই স্বাধীনতা আছে। আমরা এই স্বাধীনতাতেই বিশ্বাসী। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, ভারত সরকারসহ আমাদের সব বন্ধুরাষ্ট্রকে একথা জানিয়ে দিতে চাই। পরিচালন পদ্ধতি ও সম্পাদকীয় নীতির ক্ষেত্রে বিবিসি পুরোপুরি স্বাধীন। তারা একইভাবে কাজ চালিয়ে যাবে।’ 

বিবিসির দপ্তরে তল্লাশি ইস্যুতে ব্রিটিশ সরকার ভারতের সঙ্গে কথা বলেছে কি না, পার্লামেন্টে সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন বিরোধী এমপিরা। এ বিষয়ে সুনাক সরকারের মন্ত্রী রুটলে বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা চলে। তারই অঙ্গ হিসেবে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দিল্লি আর মুম্বাইয়ে বিবিসির দুটি দপ্তরে আয়কর কর্মকর্তারা অভিযান চালান। 

এনএফ