যৌথ সামরিক মহড়া
দ. আফ্রিকায় পৌঁছেছে রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী রণতরী
নতুন প্রজন্মের হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি রণতরী দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ডস বে বন্দরে পৌঁছেছে। চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সামরিক বাহিনীর সাথে যৌথ মহড়ায় অংশ নিতে বুধবার এই রণতরী রিচার্ড বে বন্দরে পৌঁছায় বলে রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে।
আগামী শুক্রবার থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন দেশের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এই মহড়াকে নিয়মিত বলে অভিহিত করলেও দেশের ভেতরে তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
চীন-রাশিয়ার সাথে যৌথ এই মহড়া পশ্চিমা অংশীদারদের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়া-চীন-দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথ সামরিক মহড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীর দিনে শুরু হচ্ছে। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার সর্বশেষ পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় এই মহড়া অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বার্তা সংস্থা আরআইএ রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নর্দার্ন ফ্লিটের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বলেছে, সোভিয়েত আমলের নর্দার্ন ফ্লিটের অ্যাডমিরাল গোরশকভের নামের রণতরীটি দূরপাল্লার সমুদ্রযাত্রা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ডস বে বন্দরে পৌঁছেছে।
গত ৪ জানুয়ারি রাশিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে রণতরী গোরশকভ। এই রণতরীতে ৯০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হাইপারসনিক জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আর এই ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারে।
জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পশ্চিম আটলান্টিক মহাসাগরে রণতরী গোরশকভ থেকে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা পরীক্ষা করে রুশ সামরিক বাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস