আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিলাসী পণ্য আমদানিতে কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির সংসদে বিল পাস করে বিলাসী পণ্যের ওপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই খাদ্য ও ওষুধ বাদে প্রায় সব ধরনের পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান সরকার। এখন তারা আশা করছে, কর বৃদ্ধির মাধ্যমে বৈদেশিক রিজার্ভ বৃদ্ধি পাবে।

কয়েক বছরের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ধসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যার কারণে ইসলামাবাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

তবে তা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধি করতে চায়নি। কারণ কর বৃদ্ধির কারণে প্রায় সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে অসন্তুষ্ট হয়ে মানুষ তাদের আসন্ন নির্বাচনে ভোট নাও দিতে পারে।

সোমবার পাকিস্তানের আইনসভায় সম্পূরক অর্থায়ন বিলের অনুমোদন দিয়ে সেলস ট্যাক্স ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গাড়ি, গৃহস্থালি জিনিসপত্র, চকলেট এবং কসমেটিকস জিনিসপত্র।

এছাড়া পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে এখন থেকে বিজনেজ ক্লাসের বিমান টিকেট, মোবাইল ফোন এবং সানগ্লাস ক্রয়ে আরও বেশি অর্থ খরচ করতে হবে।

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার নতুন বিল অনুমোদনের পর বলেছেন, ‘আগামী কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী আরও কঠোর বিষয় উত্থাপন করবেন। আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এদিকে আইএমএফের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড় করিয়ে নিতে কয়েকদিন ধরে দৌড়ঝাপ করছে পাকিস্তান। তবে ওয়াশিংটনভিত্তিক আর্থিক সংস্থাটি শর্ত দিয়েছে, ঋণ পেতে হলে জ্বালানির মূল্য ও পণ্যের ওপর আরোপিত কর বৃদ্ধি করতে হবে। প্রথমে এ নিয়ে পাক সরকার গড়িমসি করলেও এখন আইএমএফের শর্ত অনুযায়ীই সব পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই