৪ হাজার বছরের পুরোনো একটি সমাধিক্ষেত্র জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মিসরে। এ সমাধিক্ষেত্রে কোনো রাজা বা ফারাও নন, শায়িত আছেন একজন রাজকর্মচারী। 

এই রাজকর্মচারীর নাম মেরু। এখন পর্যন্ত মেরুর পরিচয় জানা যাচ্ছে তিনি ছিলেন- মিসরের একাদশতম রাজবংশের রাজা দ্বিতীয় মেনটুহোটেপের ঘনিষ্ঠ, এক উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী। 

মেরুর সমাধি যেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে, তার কিছুটা দূর থেকেই পাওয়া গেছে ফারাও দ্বিতীয় মেনটুহোটেপের সমাধি। মেনটুহোটেপ খ্রিস্টপূর্ব ২০০৪ সাল পর্যন্ত মিসরে রাজত্ব করেছিলেন।

মেরুর সমাধিটি দ্বিতীয় মেনটুহোটেপের নামাঙ্কিত মন্দিরে ঢোকার ঠিক আগেই পাওয়া গেছে। সমাধির সামনে উপাসনা করার জন্য একটি প্রশস্ত চত্বরও রয়েছে। 

প্রত্নতত্ত্ববিদরা বলছেন, মেরুর সমাধিক্ষেত্রটিতে একটি মাত্র ঘর রয়েছে। তবে ঘরটি যথেষ্ট সাজানো-গোছানো।

মেরুর সমাধি খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল বেশ কয়েকবছর আগেই। পরে সেটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচর্যা করেন পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাদের সহযোগিতা করে মিসরের পুরাতত্ত্ব বিভাগ। 

ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে মেরুর এই সমাধির কথা প্রথম জানা যায়। পরে ইতালি, পোল্যান্ড এবং মিসরের প্রত্নতাত্ত্বিক দল একত্রে সমাধিক্ষেত্রটির সংস্কার করে। 

এনএফ