ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ‘দ্বিমুখী’ বলল রাশিয়া
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ফরাসি পত্রিকা ল জার্নাল দ্যু দিমাঁখের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার চাওয়া ইউক্রেনে পরাজিত হোক রাশিয়া। কিন্তু তিনি চান না এ পরাজয়ে রাশিয়া ‘বিপর্যস্ত’ হয়ে যাক।
এছাড়া তিনি জানান, কিছু কিছু দেশ রাশিয়ার ভেতর হামলা এবং রাশিয়ার সরকার পরিবর্তনের কথাও বলেছে। তিনি আরও জানান, ফ্রান্স কখনো রাশিয়ার সরকার পরিবর্তন চায়নি এবং ভবিষ্যতেও চাইবে না।
বিজ্ঞাপন
ম্যাক্রোঁর এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাকারোভা অভিযোগ করেছেন, ম্যাক্রোঁ ক্রেমলিনের সঙ্গে ‘দ্বিমুখী’ কূটনীতিতে জড়িত হয়েছেন।
মারিয়া বলেছেন, ‘তার মন্তব্যে প্রকাশ পাচ্ছে পশ্চিমারা রাশিয়ার সরকার পরিবর্তনের আলোচনায় জড়িত হয়েছিল। আর ঠিক একই সময়ে ম্যাক্রোঁ একাধিকবার রাশিয়ার নেতৃত্বের (পুতিনের) সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন।’
এছাড়া ফ্রান্স কখনো রাশিয়ার সরকার পরিবর্তন চায়নি বলে ম্যাক্রোঁ যে মন্তব্য করেছেন সেটিরও সমালোচনা করেছেন মারিয়া জাকারোভা। তিনি ফরাসি রাজা নেপোলিয়নের কথা উল্লেখ করেছেন। যেই নেপোলিয়ন ১৮১২ সালে রাশিয়া দখল করতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেছেন, ম্যাক্রোঁর মাধ্যমে ফ্রান্সের সূচনা হয়নি এবং নেপোলিয়নের দেহাবশেষ, যেটি ফ্রান্সের প্যারিসে শায়িত আছে, সেটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান করা হয়। ফ্রান্স- এবং রাশিয়া- বোঝা উচিত।’
এদিকে শুক্রবার জার্মানিতে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিয়ে একটি নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে সঙ্গে তিনি এও জানান, সরকার পরিবর্তনে তিনি বিশ্বাস করেন না এবং একটা সময় রাশিয়ার সঙ্গেই আলোচনার টেবিলেই বসতে হবে।
নিরাপত্তা বৈঠকে রাশিয়ার সরকার পরিবর্তনের ব্যাপারে তিনি বলেন, “পরিস্কার করে বলছি, আমি এক সেকেন্ডের জন্যও সরকার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। যখন আমি অনেককে সরকার পরিবর্তনের কথা বলতে শুনি, আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, ‘কিসের জন্য? পরবর্তীতে কে? কে আপনাদের নেতা?”
এরপর ফরাসি ওই পত্রিকার সঙ্গে এ মন্তব্যটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন ম্যাক্রোঁ। তিনি জানান, তিনি বিশ্বাস করেন না রাশিয়ার সরকার পরিবর্তন হলেও এমন কেউ আসবেন যিনি পশ্চিমাদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সম্মত হবেন। তিনি উল্টো জানান, বর্তমান সমস্যা সমাধান করতে পারেবেন পুতিনই। তার বিকল্প কেউ নেই।
সূত্র: রয়টার্স
এমটিআই