আদানি গ্রুপের তদন্তে নিয়োগ হচ্ছে না আমেরিকান সংস্থা
ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন আদানি গ্রুপ নিয়ে হিন্ডেনবার্গের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আমেরিকান সংস্থা গ্রান্ট থর্নটনকে নিয়োগের খবরটি ভুয়া।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে এমনটায় জানিয়েছে আদানি এন্টারপ্রাইজ।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে জানানো হয়, আদানি গ্রুপের কয়েকটি সংস্থায় কোনও আর্থিক অসঙ্গতি বা দুর্নীতি রয়েছে কি না, তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই (অডিট) করে দেখতে আমেরিকার আর্থিক সংস্থা গ্রান্ট থর্নটনকে নিয়োগের খবরের কোনও সত্যতা নেই। এ বিষয়টিকে গুজব বলেই দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিবৃতিতে আদানি গ্রুপ বলেছে, ‘কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন সংস্থাগুলোতে স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে আমেরিকার সংস্থাকে নিয়োগ করা হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই এই খবরটি গুজব। বর্তমানে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করা আমাদের পক্ষে অনুপযুক্ত।’
শেয়ার বাজারে ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে গত ২৪ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। এরপরই আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস নামতে থাকে। এছাড়া আদানির ব্যক্তিগত সম্পত্তিও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
আদানি গ্রুপের দাবি, এই রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতের উপর ‘পরিকল্পিত হামলা’ হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে বদনাম করাই ছিল হিন্ডেনবার্গের মূল উদ্দেশ্য। এরপর হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে আমেরিকার অন্যতম ব্যয়বহুল আইনি সংস্থা ‘ওয়াচটেল, লিপ্টন, রোজেন অ্যান্ড কাটজকে নিয়োগ করে আদানি গোষ্ঠী।
আদানিদের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছিল, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থার লেনদেন এবং অভ্যন্তরীণ বিভাগগুলির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে স্বতন্ত্রভাবে তদন্তের ব্যবস্থা করা হবে। তারপরই আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক দিকগুলি স্বতন্ত্রভাবে খতিয়ে দেখতে গ্রান্ট থর্নটনকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়। তবে সেই খবরকে গুজব বলেই উড়িয়ে দিয়ে এমন বিবৃতি দিয়েছে আদানি গ্রুপ।
এদিকে আদানি গ্রুপের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতের কাছে এ বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়।
এর আগে আদানি গ্রুপের সংকটের জেরে যাতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন তা নিশ্চিত করতেই গত শনিবার বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এমজে