ছবি : দ্য সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি

ভূমিকম্পে আহতদের ভিড়ে উপচে পড়ছে সিরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতাল। দেশটিতে ত্রাণ তৎপরতা পরিচালাকারী সংস্থা দ্য সিরিয়ান আমেরিকান মেডিকেল সোসাইটি সোমবার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এ তথ্য।

মেডিকেল সোসাইটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সিরিয়ার অধিকাংশ হাসপাতাল (আহতদের ভিড়ে) পূর্ণ হয়ে গেছে। এমনকি স্থানের আল দানাসহ আরও কয়েকটি হাসপাতাল রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ইদলিব প্রদেশের একটি মেটার্নিটি হাসপাতাল আহতদের জায়গা করে দিতে নবজাতক শিশুদের নিকটবর্তী অপর একটি হাসপাতালে পাঠাতে বাধ্য হয়েছে।’

‘শিগগিরই হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা উপকরণের ঘাটতি শুরু হওয়ার সমূহ আশঙ্কা আছে। কারণ হাজার হাজার আহত রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।’

সোমবার ভোরের দিকে ভয়াবহ জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় খারমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক-সিরিয়ার পাশাপাশি লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

ভূমিকম্প ও তার ফলে ভবন ধসের ঘটনায় দু’দেশের বিভিন্ন শহর থেকে এপর্যন্ত ৬৪০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মধ্যে সিরিয়ায় উদ্ধার করা হয়েছে ২৪৫ জনের। এছাড়া দু’দেশে আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে কয়েক হাজার। তবে

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যার আরও বাড়বে, কারণ বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে এখনও আটকা পড়ে আছেন শত শত মানুষ।

এসএমডব্লিউ