বিশেষ সামরিক অভিযান চালানোর নামে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুরো ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী। এই সময়ের মধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ২০ ভাগ অঞ্চল দখল করেছে রুশ বাহিনী। কয়েক মাস তীব্র যুদ্ধ চলার পর ধীরে ধীরে তা সীমিত হয়ে আসে। বিশেষ করে রুশ সেনারা তাদের আক্রমণের তীব্রতা কমিয়ে দেয়।

তবে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এ মাসেই আবার বড় হামলা চালানো শুরু করবে রুশ সেনারা। মূলত যুদ্ধের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ‘প্রতীকী’ হামলা চালাবে তারা। তবে তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার এ হামলা প্রতিহতের সক্ষমতা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর আছে।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার বড় হামলার আশঙ্কা করছি। এটি শুধুমাত্রই প্রতীকী দিক থেকে। সামরিক দিক থেকে এর কোনো যুক্তিই নেই। কারণ তাদের সেনারা পুরোপুরি প্রস্তুত না। কিন্তু তারা তবুও এ হামলা চালাবে।’

তিনি জানিয়েছেন, হামলাটা মূলত হবে পূর্ব দিকে অবস্থিত ডনবাসে। এ অঞ্চল পুরোটি দখল করার চেস্টা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। অথবা হামলা হতে পারে দক্ষিণ দিকের অঞ্চলগুলোতে। যেখান দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের দখলকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে স্থল সংযোগ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইউক্রেনের মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে বেলারুশে রাশিয়ার ১২ হাজার সেনা অবস্থান করছে। ফলে এ সংখ্যক সেনা দিয়ে ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে হামলা চালাতে পারবে না তারা। ফলে রাজধানী কিয়েভ ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতে হামলার শঙ্কা নেই।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকোভ আরও জানিয়েছেন, রাশিয়া হামলা শুরুর আগে ইউক্রেন হয়ত পশ্চিমাদের প্রতিশ্রুত সব  অস্ত্র পাবে না। কিন্তু বর্তমানে তাদের কাছে যেসব অস্ত্র আছে সেগুলো দিয়েই রাশিয়ার হামলা ঠেকানো যাবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এমটিআই