পাকিস্তানের পেশোয়ারের মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেছে দেশটির নিষিদ্ধঘোষিত সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সোমবার যোহরের নামাজের সময় প্রাণঘাতী এই হামলা নিজ ভাইকে হত্যার প্রতিশোধে চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তালেবানের এক কমান্ডার।

দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার রাজধানী পেশোয়ারের পুলিশ লাইন্স এলাকায় মসজিদে টিটিপির হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ১৪৭ জন আহত হয়েছেন বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। মসজিদে হামলার পরপরই নিষিদ্ধ ওই সংগঠন দায় স্বীকার করেছে।

গত বছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের সাথে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল টিটিপি। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও তাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে টিটিপি যে হামলা চালিয়ে আসছে তার মধ্যে পেশোয়ার মসজিদে হামলার এই ঘটনা সবচেয়ে বড়।

পাকিস্তানি তালেবানের কমান্ডার সারবাকাফ মোহমান্দ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় পেশোয়ার মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেছেন। তবে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জঙ্গিগোষ্ঠীটির প্রধান মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অভিযানে নিহত টিটিপি কমান্ডার উমর খালিদ খুরাসানির ভাই মোহমান্দ। গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর এক অভিযানে নিহত হন উমর খালিদ। ভাইকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই পেশোয়ারের মসজিদে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তালেবানের কমান্ডার সারবাকাফ মোহমান্দ।

এই হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই পাকিস্তানের পুলিশের কর্মকর্তা। তবে বোমা হামলাকারী কীভাবে প্রাচীর ঘেরা মসজিদের ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন তা স্পষ্ট নয়। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জিও নিউজ বলছে, সোমবার যোহরের নামাজের সময় পুলিশ লাইন্স এলাকার মসজিদের সামনের সারিতে উপস্থিত ছিলেন আত্মঘাতী হামলাকারী। বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে পেশোয়ার পুলিশ, সিটিডি, এফআরপি, এলিট ফোর্স এবং টেলিযোগাযোগ বিভাগের সদর দফতর রয়েছে।

মসজিদে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানকে রক্ষা করার দায়িত্ব পালনকারীদের লক্ষ্য করে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।’

এসএস