আটকায়নি গঙ্গা বিলাস, নিরাপত্তার কারণেই রাখা হয় মাঝ গঙ্গায়
আটকায়নি গঙ্গা বিলাস। নিরাপত্তার কারণেই বিলাসবহুল এই প্রমোদতরীটিকে গঙ্গার মাঝে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রমোদতরীটির পরিচালনা সংস্থার চেয়ারম্যান রাজ সিংহ। তিনি জানান, গঙ্গা বিলাস পটনায় পৌঁছেছে। গঙ্গার মূল প্রবাহপথ ধরেই এগিয়েছে সেটি।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজ সিংহ এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, গঙ্গা বিলাস সূচি মেনেই পাটনায় পৌঁছেছে। গঙ্গার অগভীর অংশে প্রমোদতরীটির আটকে যাওয়ার খবরকে উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, গঙ্গার মূল প্রবাহপথ ধরেই গঙ্গা বিলাস এগিয়েছে। গঙ্গা বিলাসের মতো বড় জাহাজের নদীর তীর ধরে এগোনো সম্ভব নয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল, বিহারের ছপড়ার কাছে তীরে ভিড়তে গিয়ে গঙ্গায় আটকে যায় গঙ্গা বিলাস। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, পরিকল্পনা মেনেই প্রমোদতরীটিকে জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়নি। বহু মানুষ গঙ্গা বিলাসকে দেখতে জেটির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। যাত্রীদের গোপনীয়তা এবং গঙ্গা বিলাসের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেটাকে মাঝ গঙ্গায় রাখা হয়। যাত্রীরা সেখান থেকেই বোটে চেপে চিরান্দ প্রত্নক্ষেত্রের উদ্দেশে যান।
ছপরা জেলা প্রশাসনের বরাতে জানানো হয়েছিল, গঙ্গার ওই অংশে জল কম থাকায় প্রমোদতরীটি তীরে ভিড়তে গিয়ে এক জায়গায় আটকে যায়। তবে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বেনারসে গঙ্গা বিলাসের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রমোদতরীটি উত্তরপ্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ হয়ে তা শেষ করবে অসমের ডিব্রুগড়ে। ৫১ দিন ধরে ভারত ও বাংলাদেশের নানা স্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার রয়েছে গঙ্গা বিলাসের। ভারতের কোনো ব্যক্তিকে গঙ্গা বিলাসের এক দিনের বাসিন্দা হতে চাইলে গুনতে হবে ২৫ হাজার টাকা। আধুনিক ব্যবস্থাসম্পন্ন গঙ্গা বিলাস নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বেশ উচ্চগ্রামে প্রচার করা হলেও, পরিবেশবিদদের একাংশ গঙ্গার কম নাব্যতায় প্রমোদতরীটি চলতে পারবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এমজেইউ