এবার আস্থা ভোটের মুখে শেহবাজ? ইমরানের দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য
আস্থা ভোটে হেরে গত বছরের এপ্রিলে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর এবার সেই আস্থা ভোটের মুখেই হয়তো পড়তে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এমন দাবিই সামনে এনেছেন। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর আরিফ আলভি শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে আস্থা ভোটে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলবেন বলে দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় হাম নিউজ টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘শেহবাজ শরিফ পাঞ্জাবে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পরীক্ষা করেছেন এবং এখন তার প্রমাণ করার পালা যে তিনি জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান কিনা।’
করাচি ও হায়দ্রাবাদের স্থানীয় নির্বাচনের ইস্যুতে ক্ষমতাসীন জোটের একটি অংশ পদত্যাগের হুমকি দিয়েছে দাবি করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেন, ‘প্রথমে, শেহবাজকে আস্থা ভোটের পরীক্ষা দিতে হবে... এবং পরে তার জন্য আমাদের অন্যান্য পরিকল্পনা রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ইমরানের পিটিআইয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং দেশটির ক্ষমতাসীন ফেডারেল জোট খুব অল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতায় টিকে আছে। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মুতাহিদ্দা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তানের (এমকিউএম-পি) সাতজন সদস্য আছে, যদি তারা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে শেহবাজ সরকার টিকে থাকতে পারবে না।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাবের গভর্নর পিএমএল-এন-এর সদস্য বালিগুর রহমান সম্প্রতি প্রদেশটির ক্ষমতাসীন পিটিআই-পিএমএলকিউ-এর মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ এলাহির কাছে আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলেন। তিনি বেশ সফল ভাবেই সেটি করতে পরেছেন এবং এরপর গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার জন্য গভর্নরকে পরামর্শ দিয়েছেন।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। ইমরান খান চান ফেডারেল সরকার আগাম জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করুক এবং এই উদ্দেশ্যে তিনি তার পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকারকে উৎসর্গ করেছেন।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে বিশ্বকাপজয়ী সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা হয়।
টিএম