নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী বিমানে বৃদ্ধা নারীর গায়ে প্রস্রাব করা সেই মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পাশাপাশি আগামী ৩০ দিন এয়ার ইন্ডিয়ায় ভ্রমণের ব্যাপারে তাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, মূল ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ২৬ নভেম্বর। ওইদিন নিউইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি প্লেন যখন মাঝপথে ছিল তখন বিজনেস ক্লাসের ভেতর মাতলামি শুরু করেন এক যুবক। এক পর্যায়ে প্যান্টের চেইন খুলে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধা সহযাত্রীর ওপর প্রস্রাব করে দেন তিনি।

এনডিটিভি আরও জানিয়েছে, বিমানে দুপুরের খাবারের পর উজ্জ্বল বাতিগুলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে কী হচ্ছিল তা পাশের যাত্রীরা বুঝতে পারছিলেন না। অভিযুক্ত যুবক এতটাই মাতাল ছিলেন যে প্রস্রাব করার পরও তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পরে তাকে আরেকজন এসে সরিয়ে দেন।

এমন ঘটনার পরও তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এয়ার ইন্ডিয়া ও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। তবে কয়েক সপ্তাহ পর এ নিয়ে টনক নড়ে তাদের। অভিযুক্ত ওই মাতাল যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

মূলত এয়ার ইন্ডিয়ার পরিচালনাকারী সংস্থা টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখড়ের কাছে বৃদ্ধা চিঠি লিখে অভিযোগ জানানোর পর এ ঘটনাটি আমলে নেওয়া হয়।

ওই নারী চিঠিতে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন, যুবকের মাতলামি এবং অপ্রীতিকর কাণ্ডের পর সেটি কেবিন ক্রুদের অবহিত করেছিলেন। তাদের তিনি জানিয়েছিলেন, তার কাপড় এবং জুতা প্রস্রাবে ভিজে গেছে। ক্রুরা তাকে অন্য কাপড় ও জুতা দিয়ে সিটে গিয়ে বসতে বলেন। কিন্তু তার সিটটিও প্রস্রাবে ভিজে গিয়েছিল।

চিঠিতে বৃদ্ধা আরও জানিয়েছেন, তিনি ওই ভেজা সিটে বসতে চাননি। তাই তাকে ক্রুদের একটি সিটে বসতে দেওয়া হয়। কিন্তু এক ঘণ্টা পর একজন ক্রু তাকে আবারও সেখানে ফিরে যেতে বলেন। সিটটি যদিও শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখনো সেটি থেকে প্রস্রাবের বাজে গন্ধ আসছিল। এরপর অপর একজন ক্রু সেখানে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেন। কিন্তু তবুও যখন ওই সিটে বসতে অস্বীকৃতি জানান, তখন আরেকজন ক্রুর সিটে বসানো হয়। সেখানে ভ্রমণের বাকি তিন ঘণ্টা কাটান।

ওই নারী চিঠিতে অভিযোগ করেন, বিজনেস ক্লাসে আরও সিট থাকলেও তাকে সেখানে বসতে দেওয়া হয়নি।

কেএ