কলকাতায় বারে ঢুকে বাংলাদেশি বাবা-ছেলের মারামারি-ভাঙচুর, পরে আটক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় একটি বারে ঢুকে মারামারি ও ভাঙচুরের অভিযোগে বাংলাদেশি বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই বারটি কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় অবস্থিত এবং ক্রিসমাসের রাতে মারামারি ও ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিসমাসের রাতে বারের দুই কর্মচারীকে লাঞ্ছিত এবং ভাঙচুরের অভিযোগে কলকাতার নিউমার্কেট এলাকা থেকে এক বাংলাদেশি ব্যক্তি ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ জানিয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, গত রোববার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ওই বাংলাদেশি ব্যক্তি ও তার ছেলে নিউমার্কেট এলাকার ওই বারে প্রবেশ করে এবং কিছু বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। পরে এই মারামারি হিংসাত্মক রূপ নেয় এবং তারা একে অপরের দিকে থালা-বাসন ও গ্লাস ছুড়তে থাকে।
নিউমার্কেট থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ‘মারামারির একপর্যায়ে রেস্তোরাঁর দুই কর্মী তাদের বাধা দিতে গেলে বাবা-ছেলে তাদের মারধর করেন। ওই দুই কর্মচারী গুরুতর আহত হয় এবং পরে তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
পরে বার কর্তৃপক্ষ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত দু’জনকে সেই বার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এখানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানিয়ে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছি। আমরা তাদের ভিসা এবং পাসপোর্টের সত্যতা যাচাই করার জন্য অনুরোধ করেছি।’
প্রাথমিক তদন্তে গ্রেপ্তারকৃত বাবার নাম সিরাজুল আলম খান এবং তার ছেলের নাম নাফুই খান বলে জানা গেছে। তারা বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার বাসিন্দা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে তারা ভারতে গিয়েছিলেন।
এদিকে কলকাতা পুলিশ ক্রিসমাসের রাতে বিভিন্ন অপরাধের জন্য ২০৭ জনকে গ্রেপ্তার এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশির সময় ৩৯ লিটার মদ জব্দ করেছে বলে সিনিয়র এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন।
কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ অনুসারে, বিভিন্ন ধরনের ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে একইদিন ৩৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
টিএম