বিয়ে করতে চেয়েছিলেন প্রেমিকা। তাতেই আপত্তি প্রেমিকের। আর এর জেরে ১৯ বছর বয়সী প্রেমিকাকে কিল, চড়, ঘুষিসহ বেদম মারধর করলেন ২৪ বছরের এক যুবক। এমনকি মারের চোটে অজ্ঞানও হয়ে যান ওই তরুণী।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায়। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআই এবং সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমস।

এদিকে অভিযুক্ত যুবকের প্রেমিকাকে মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির টুইটার লিংক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এমবেড করা হয়েছে। যদিও ঢাকা পোস্ট এই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত বুধবার বিয়ে করার জন্য প্রেমিককে জোরাজুরি করেন তারই ১৯ বছর বয়সী প্রেমিকা। বিয়ের কথা শুনেই রেগে যান যুবক। প্রেমিকার মুখে আঘাত করেন তিনি। এভাবে মারধর চলতে থাকে।

কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞান হয়ে যান প্রেমিকা। এই মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মারধরের ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মারধরের শিকার হওয়ার পর তরুণী বিষয়টি থানায় জানালে গত বুধবারই অভিযুক্ত ওই যুবককে আটক করে পুলিশ। কিন্তু পরে ওই তরুণী যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে রাজি না হওয়ায় যুবককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

কিন্তু পরে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। বর্তমানে ওই যুবক পলাতক রয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

মধ্যপ্রদেশের পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার (এসডিওপি) নবীন দুবে জানিয়েছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিটি মৌগঞ্জ এলাকার ধেরা গ্রামের বাসিন্দা বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণী ও অভিযুক্ত যুবকের মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং তাদের মধ্যে বিবাদ হলে তরুণীকে মারধর করেন ওই যুবক।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলছেন, নির্যাতিতা তরুণী ঘটনাটি জানাতে থানায় এসেছিল, কিন্তু সে অভিযোগ করতে অস্বীকার করে। অবশ্য অভিযুক্তকে আইপিসির ১৫১ (জনসাধারণের শান্তি নষ্টকারী) ধারার অধীনে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে মারধরের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে পলাতক অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ৩২৩ ধারা (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিধানের অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয় বলে জানান নবীন দুবে।

এছাড়া যে এই ভিডিওটি ধারণ এবং প্রচার করেছে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) আইনের অধীনে ভুক্তভোগী তরুণী একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

টিএম