এশিয়ার দেশ চীনে নতুন করে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। চীনের প্রতিবেশী দেশ ভারতে যেন করোনা ছড়িয়ে না পড়ে সেটি নিশ্চিতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা এবং বিদেশ সফরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) এক সতর্ক বার্তায় আইএমএ বলেছে,  ‘করোনার নতুন ঢেউ আসন্ন’। সংক্রমণ ঠেকাতে এ মুহূর্ত থেকে করোনার বিধিনিষেধগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরা এবং নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখার ওপর জোর দিতে হবে।

ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এমন সতর্কতা দেওয়ার পর দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানকুশ মান্দাভিয়া সংসদে বলেছেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ার দিকে নজর রাখছে সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে বিধিনিষেধের তালিকা করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে সব রাজ্যকে বিদেশ ফেরতদের করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের নতুন ধরনের জিনোম সিকোয়েন্সও করতে বলা হয়েছে।

এখন বিয়ে, রাজনৈতিক সমাবেশসহ সকল সামাজিক গণজমায়েত এবং বিদেশ সফরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। করোনার কোনো ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে বলেছে সংস্থাটি।

আইএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৫ জন। যার মধ্যে চারজন চীনের নতুন বিএফ.৭ ধরনে আক্রান্ত।

তবে সংস্থাটি বলেছে, ভারতে আতঙ্ক হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু পরিস্থিতি যেন ভালো থাকে সেটি নিশ্চিতে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে জমায়েত না হওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি ভারতীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ২০২১ সালের মতো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে তৈরি থাকতে হবে।

এদিকে চীনে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারতের বিরোধীদলগুলো ভারত ও চীনের মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এমন দাবিতে সাড়া দেয়নি। তবে চীনে যারা তিনদিন থেকে সাতদিন পর্যন্ত থেকেছেন তাদের বাধ্যতামূলক করোনা পরীক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

এমটিআই