মাঝ আকাশে হঠাৎ হাওয়াইয়ান এয়ারলাইন্সের প্লেনে একের পর এক তীব্র ঝাঁকুনি। এদিক সেদিক ছিটকে পড়েন যাত্রীরা। এতে ৩৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এক যাত্রীর ভাষ্য, প্লেনটা প্রচন্ড দুলছিল। মনে হচ্ছিল যেন নাগরদোল্লায় চেপে ছিলাম। আরেক যাত্রী জানান, অনেকের জখম হয়ে রক্ত বের হয়ে যায়। মানুষ ভয়ে কাঁদছিলেন।

ফ্লাইটটি ফোনেক্স থেকে হনুলুলু যাচ্ছিল। এতে ২৭৮ জন যাত্রী ও ১০ জন কেবিন ক্রু ছিল। জানা গেছে, আহত ২০ যাত্রীকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়েছে, যাদের মধ্যে ১১ জন গুরুতর আহত ছিলেন।

সূত্রের খবর, আধ ঘণ্টা পরই প্লেনটি ল্যান্ড করত। তার আগেই মাঝ আকাশে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ১১ জনের আঘাত বেশ গুরুতর। একজন অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলেন। অনেকেরই মাথায় আঘাত লেগেছে। কয়েকজনের হাতে পায়ে কেটে, ছিঁড়েও গেছে। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে ফ্লাইটটি অবতরণ করার পরে প্লেনের ভেতরের যে ছবি দেখা গেছে তা ছিল ভয়াবহ। ভেতরের প্যানেল ভেঙে গেছে। লাইট ভেঙে গেছে। অক্সিজেন মাস্ক ঝুলছে এদিক-ওদিক।

কীভাবে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলো? ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিসের ধারণা, সম্ভবত বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়েছিল প্লেনটি। সে কারণেই হয়ত প্লেনে তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হয়ে যায়।

বিমানযাত্রীদের একাংশ ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, ঠিক যেন মনে হচ্ছিল নাগরদোলায় চেপেছি। ভয়াবহ এক ব্যাপার।

কেয়লি রায়েস নামে এক যাত্রী বলেন, মায়ের সঙ্গে বিমান ছিলাম। মাত্র বাথরুম থেকে বেরিয়ে সিটের কাছে এসেছি। কিন্তু কিছুতেই সিট বেল্ট বাঁধতে পারছিলাম না। একেবারে হাওয়ার মধ্যে ছিটকে পড়ে গেলাম। আরেক যাত্রীর মতে, প্লেন প্রচন্ড দুলছিল। এরপর ছিটকে পড়লাম।

/এসএসএইচ/