ভাইরাস-বিরোধী কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করার পর চীনে করোনাভাইরাসে প্রথম প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার দেশটির সরকার এই ভাইরাসে দু’জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে। যদিও চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতদের সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে।

দেশজুড়ে জারি করা কঠোর করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে লোকজনের তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ৩ ডিসেম্বর চীনের সরকার ‘জিরো-কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয়। প্রায় তিন বছর ধরে কোভিড বিধিনিষেধের কারণে স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে অভিযোগ করে দেশটির নাগরিকরা চীনজুড়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন।

কোভিড নীতি শিথিল করার পর সোমবার চীনে প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে দু’জন মারা গেছেন বলে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) জানিয়েছে।

যদিও শনিবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিকরা বেইজিংয়ের কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতদের জন্য নির্ধারিত একটি শ্মশানের বাইরে শবযানকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে এবং কর্মীদের সুরক্ষা পোশাক পরে মৃতদেহ ভেতরে নিয়ে যেতে দেখেছেন।

তবে সেসব মরদেহ আসলে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া লোকজনের কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

চীনের স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে সোমবার করোনায় দুজনের প্রাণহানির খবরটি ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। এতে একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেছেন, এই অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান প্রকাশের অর্থ কী? আরেকজন লিখেছেন, এটা কি জনগণের সাথে প্রতারণা নয়?

তবে এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। চীনের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটিতে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তাদের মধ্যে সোমবার মারা যাওয়া দু’জনও রয়েছেন।

১৪০ কোটি মানুষের দেশটিতে কোভিডে প্রাণহানির সরকারি এই পরিসংখ্যান নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ শুরু থেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে আসছেন। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, চীনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা আগামী কয়েক মাসে ১৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস