ছবি : বিবিসি

সরকার ‘জিরো কোভিড’ নীতি থেকে সরে আসার পর চীনে দিনকে দিন বাড়ছে করোনায় দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে চলতি শীতে এই সংখ্যায় উল্লম্ফন ঘটবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

চীনের মহামারিবিদ উয়ো জুনইউ’র মতে, চলতি ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত করোনার অন্তত তিন ঢেউ আঘাত হানবে দেশটিতে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে উয়ো জুনইউ বলেন, বর্তমানে একটি করোনার ঢেউ শুরু হয়েছে দেশটিতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত তা চলবে। তারপর মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও দু’টি ঢেউ আসার সমূহ আশঙ্কা আছে।

এই বিশেষজ্ঞের মতে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউটি শুরু হবে ২০ জানুয়ারির পর। কারণ ওই দিন থেকে চীনের নতুন চান্দ্র বছরের শুরু এবং নতুন বছর উদযাপন হবে টানা কয়েকদিন। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নতুন বছরের আনন্দ ভাগ করে নিতে দেশ-বিদেশে অবস্থান করা চীনের নাগরিকরা বাড়ি ফেরা শুরু করবেন এবং এই বিপুল-সংখ্যক মানুষের যাওয়া-আসা থেকেই সৃষ্টি হবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ।

তৃতীয় ঢেউও শুরু হবে এই নতুন চান্দ্র বছর ঘিরেই, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মার্চের প্রথমার্ধে। সে সময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের পর নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা শুরু করবে।

জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভের পর ডিসেম্বরের শুরুতে অনেকটা হঠাৎ করেই কঠোর জিরো কোভিড নীতি থেকে সরে আসে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। করোনা সংক্রান্ত প্রায় সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়।

তারপর থেকেই দেশটিতে বাড়তে থাকে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে অবশ্য এই সংখ্যা খানিকটা কমেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রোববার দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯৭ জন।

তবে করোনার একের পর এক ঢেউ এলেও এই রোগে গুরুতর অসুস্থ বা মৃত্যুর হার খুব কম থাকবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছেন উয়ো জুনইউ। কারণ, চীনেরমোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশই ইতোমধ্যে করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন। এছাড়া দেশটির ৭৫ থেকে ৮০ বছর বয়সী লোকজনের অর্ধেকেরও বেশি গ্রহণ করেছেন টিকার তিনটি ডোজ।

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ