দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের রাজা ও রানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত তাদের শরীরে কেবল মৃদু উপসর্গ দেখা গেছে। শনিবার থাই রাজ প্রাসাদের এক বিবৃতিতে রাজা-রানির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রাজ প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন (৭০) ও রানি সুথিদাকে (৪৪) চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন। একই সঙ্গে থাই রাজা-রানিকে আপাতত রাজদায়িত্ব থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

‘তাদের শরীরে যে ধরনের উপসর্গ রয়েছে, তা একেবারে মৃদু,’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার এবং বৃহস্পতিবার এই দম্পতি ব্যাংককের চুলালংকর্ন হাসপাতালে রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা মাহিদলকে দেখতে যান। গত বুধবার কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক হয় রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভার

পরে ৪৪ বছর বয়সী রাজকুমারীকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে ব্যাংককের  চুলালংকর্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। 

থাইল্যান্ডের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি ব্যাংকক এবং থাইল্যান্ডের অন্যান্য জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে জারি করা করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করার পর পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, থাইল্যান্ডের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ বা কমপক্ষে ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষকে এখন পর্যন্ত অন্তত এক ডোজ করে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ ইতোমধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজও পেয়েছেন, আর তৃতীয় ডোজ পেয়েছেন ৩ কোটি ৩৫ লাখ মানুষ।

সূত্র: এপি।

এসএস