দিন-দুপুরে বাগদানের অনুষ্ঠান থেকে তরুণীকে অপহরণ
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাঙ্গা রেড্ডিতে বাগদানের অনুষ্ঠান থেকে এক তরুণীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। নাভিন রেড্ডি নামের ক্ষুদ্ধ এক যুবক নিজের সঙ্গে আরও ৪০ জনকে নিয়ে এসে এ কাণ্ড ঘটান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত তরুণীর নাম বৈশালী। তিনি পড়াশোনা শেষ করে সদ্যই দাঁতের ডাক্তারি পেশা শুরু করেছিলেন। তার সঙ্গে অপহরণকারী যুবকের পূর্ব পরিচয় ছিল।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের কয়েক ঘণ্টা অভিযানে অবশ্য ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এর সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকেও আটক করা হয়েছে।
ওই তরুণীর বাবা-মা জানিয়েছেন, তাদের মেয়েকে উত্তক্ত্য করত নাভিন। তাদের বাড়ির পাশেই নাভিনের দোকান আছে। তাদের মেয়ে বৈশালীকে সে বিয়ে করেছে এমন দাবি করত সে। কিন্তু এরকম কিছু হয়নি। যখন তাদের মেয়ের অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয় তখন নাভিন অনেক ক্ষুদ্ধ হয়। এর জেরে বাগদানের দিন প্রায় ১০০ জনকে নিয়ে এসে সে বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে জোর করে বৈশালীকে তুলে নিয়ে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে, অপহরণের শিকার হওয়া বৈশালীর সঙ্গে নাভিনের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু নাভিনকে বিয়ে করেনি বলে জানিয়েছে সে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বৈশালী একজন দন্ত চিকিৎসক এবং সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মেয়ে। বৈশালীর সঙ্গে নাভিনের একটি ব্যাডমিন্টন কোর্টে পরিচয় হয় এবং তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। এমনকি বৈশালীকে নাভিন একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন।’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘পরবর্তীতে নাভিন বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু বৈশালী তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর নাভিন তাকে উত্তক্ত্য করা শুরু করেন। এ নিয়ে বৈশালী পুলিশের কাছেও অভিযোগ জানান।’
ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেছেন, ‘শুক্রবার বৈশালীর আরেক ব্যক্তির সঙ্গে বাগদান ছিল। ওই সময়টাকে লক্ষ্য করে নাভিন তার লোকদের নিয়ে বৈশালীর বাড়ি-ঘর, গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায় এবং তাকে তুলে নিয়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে অপহরণকারীরাই আবার বৈশালীকে ছেড়ে দেয়।
সূত্র: এনডিটিভি
এমটিআই