একে অপরের প্রেমে পাগল, তাই অন্য কারও সঙ্গে কথা বলতে বা তাকাতে দেখলেও হিংসায় জ্বলে পুড়ে যান। কিন্তু এই সামান্য ইর্ষা যে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাতে পারে, তা হয়তো কল্পনাও করা কঠিন।

এমনই এক কারণে সেনাইডা ম্যারি সোতো নামক ২৩ বছরের এক যুবতী তার প্রেমিকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। কারণ, রাতে প্রেমিককে যখন তিনি ফোন করেছিলেন, তখন অন্য কোনও এক নারী সেই ফোন রিসিভ করেছিলেন।

আর এরপরই গভীর রাতে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হয়ে সোজা আগুন ধরিয়ে দেন সোফায়। আগুন লাগানোর সেই ভিডিও আবার প্রেমিককে ভিডিও কল করেও দেখালেন। সোফা থেকে গোটা বাড়িতেই আগুন ধরে যায়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ইতোমধ্যেই ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বেক্সার কাউন্টি শেরিফ অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে সেনাইডা ম্যারি সোতো নামের ওই যুবতী রাগ ও প্রতিহিংসার বশে প্রেমিকের পৈত্রিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার সময় ওই বাড়ি ফাঁকাই ছিল। রাত ২টার দিকে ম্যারি চুপিচুপি বাড়িতে ঢোকেন এবং আগুন লাগিয়ে দেন।

প্রেমিকের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ি থেকে মূল্যবান বেশ কিছু জিনিস উধাও হয়ে গেছে। ম্যারিই ওই জিনিসগুলো চুরি করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

পরে অভিযুক্ত ম্যারি সোতোকে গত সপ্তাহের সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়। বাড়ি থেকে চুরি ও আগুন লাগানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে ম্যারি রাতে তার প্রেমিককে ফেসটাইম (ভিডিও কলের একটি মাধ্যম) করেছিলেন। সেই সময় অপর এক নারী সেই ফোন ধরেন।

প্রেমিকের ফোনে অন্য মেয়ের গলা শুনতে পেয়েই ফোন কেটে দেয় ম্যারি। এরপরই প্রেমিককে কড়া শাস্তি দেওয়ার জন্য ছক কষতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে মধ্যরাতে ম্যারি হাজির হন প্রেমিকের পৈত্রিক বাড়িতে।

সেখানে তিনি বসার ঘরে রাখা একটি সোফায় আগুন লাগিয়ে দেন। নিমেষের মধ্য়ে গোটা বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে যায়। বাড়িতে যখন আগুন জ্বলছে, সেই সময়ই একটি ভিডিও রেকর্ড করেন ম্যারি। সেখানে দেখা যায়, তিনি নিজেই স্বীকার করছেন আগুন লাগানোর কথা। প্রেমিকের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আশা করছি এবার তোমার জিনিসপত্র ঠিক থাকবে।’

গোটা বাড়িটি পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে প্রেমিক জানিয়েছেন, অন্য কোনও নারীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই তার। যে নারী ফোন ধরেছিলেন, তিনি তার আত্মীয়।

টিএম