দিল্লির শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড
আফতাবের ফ্ল্যাটের বাথরুমের টাইলস সরিয়ে মিলল রক্তের চিহ্ন
ভারতের দিল্লির আলোচিত শ্রদ্ধা ওয়ালকার হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তার প্রেমিক আফতাব পুনাওয়ালাকে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। এদিকে আদালতে শুনানিতে বিচারক আফতাবের কাছে জানতে চান কেন এই খুন করেছেন তিনি? আফতাবের জবাব- তাকে প্ররোচিত করা হয়েছিল রেগে যেতে, ক্ষিপ্ত হতে। আর সেই কারণে তিনি খুন করেন শ্রদ্ধাকে!
এরইমধ্যে আফতাবের ফ্ল্যাটের বাথরুম ও রান্নাঘরের টাইলস সরিয়ে রক্তের চিহ্ন পেয়েছে ফরেন্সিক দল। ঘটনার ছয় মাস কেটে যাওয়ার ফলে আফতাবের ফ্ল্যাটে সাধারণভাবে রক্তের চিহ্ন মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞেরা তার বাথরুমের টাইলস সরিয়ে রক্তের দাগ খোঁজার সিদ্ধান্ত নেন।
বিজ্ঞাপন
এই রক্তের চিহ্ন শ্রদ্ধারই কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানতে পেরেছে রক্তমাখা কাপড় আবর্জনার গাড়িতে ফেলে দেওয়া হয়। এখন সেই গাড়ি ও আফতাবের পোশাকও খুঁজছে পুলিশ।
• আরও পড়ুন : ফ্রিজে থাকা প্রেমিকার মরদেহে মেকআপ দিতেন আফতাব
গত ১৮ মে দিল্লির মেহরৌলির ফ্ল্যাটে ২৭ বছর বয়সী লিভ টুগেদার সঙ্গী শ্রদ্ধাকে ২৮ বছরের আফতাব গলা টিপে খুন করেন বলে অভিযোগ। এরপর প্রেমিকার দেহ করাত দিয়ে ৩৫ টুকরো করেছিলেন তিনি। তারপর সেই টুকরোগুলো ফ্রিজে রেখে পরে বিভিন্ন এলাকায় ফেলেন।
এদিকে এখনও খোঁজ মেলেনি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের। শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধানে পুকুরেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে পুলিশ একটি জঙ্গল থেকে ১৩টি হাড় উদ্ধার করেছে। এসব হাড় শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এবং সে কারণে শ্রদ্ধার বাবার নমুনা নেওয়া হয়েছে।
অতীতেও আফতাব শ্রদ্ধাকে নিয়মিত হেনস্থা করত বলে জানিয়েছেন শ্রদ্ধার প্রাক্তন সহকর্মী করণ ভাক্কি। একটি সংবাদমাধ্যমকে করণ বলেন, ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে আফতাবের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন শ্রদ্ধা। একইসঙ্গে তার দাবি, শ্রদ্ধা আফতাবকে স্বামী বলে পরিচয় দিত।
• আরও পড়ুন : মাদকের ঘাড়ে ভর করে বাঁচার চেষ্টা দিল্লির আফতাবের
করণ বলেন, ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে ও যখন প্রথম আমাকে আফতাবের বিষয়ে বলেছিল সেই সময় তাকে হাবি বলে পরিচয় দিয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম ওরা বিবাহিত। ওর মুখে একটা বড় দাগ ছিল। ওর গলায় বড় একটা দাগ ছিল। শ্রদ্ধা সেই সময় এ বিষয়ে পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই সময় আফতাব ক্ষমা চাওয়ার পর ফের তার কাছে ফেরত যায় শ্রদ্ধা।
এনএফ