পাকিস্তানে সামরিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান
এশিয়ার দেশ পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিশ্রুতি পূরণে তাদের বিভিন্ন ধরনের সামরিক সহায়তা দেয় মার্কিন সরকার।
তবে পাকিস্তানকে আরও সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক হতে হবে এবং তাদের এ বিষয়ে আরও ভেবেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে— যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতি এমন সুপারিশ করা হয়েছে ওয়ার অন দ্য রকস (ডব্লিউওটিআর) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে।
বিজ্ঞাপন
সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এসব বিমান দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করা হবে কিনা এ নিয়ে সন্দেহ আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন পাকিস্তানের কাছে এফ-১৬ বিমান বিক্রির বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে। পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে সামরিক সম্পর্ক রয়েছে এটির সর্বশেষ অধ্যায় হলো এফ-১৬ বিমান বিক্রির চুক্তি।
এ চুক্তি প্রশ্ন তুলেছে, পাকিস্তানকে সহায়তার মাধ্যমে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের উত্থান থামানো, এশিয়ায় চীনের প্রভাব বিস্তার কমানো, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার কমানো এবং ভারতের সঙ্গে বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পরিহার করার যে লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র ঠিক করেছে। সেটি তারা পূরণ করতে পারবে কিনা। খুব সম্ভবত এ প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচক আসবে, যেমনটি আগেও এসেছিল।
মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা হিসেবে ও পরমাণু কার্যক্রম বৃদ্ধির অভিযোগে অভিযুক্ত করতে চেয়েছিল কিন্তু আবারও তাদের সঙ্গেই কাজ করেছে তারা, এমনটি বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ডব্লিউওটিআরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের এস-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে প্রলুদ্ধকরা উচিত হবে না। কারণ বর্তমানে পাকিস্তানে যেসব সমস্যা চলছে সেগুলো এসব বিমান ও অস্ত্রের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব না। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে এসব যুদ্ধ বিমান দেওয়ার বিষয়টির পাল্টা প্রতিক্রিয়াও দেখা যেতে পারে।
এমনকি এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়া পাকিস্তান এসব যুদ্ধবিমান পরমাণু অস্ত্র বহনের কাজেও ব্যবহার করতে পারে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বিমান দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, পাকিস্তান এসব বিমান ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাধাতে কাজে লাগাবে। জয়শঙ্করের দাবিও ফেলা দেওয়ার মতো না। কারণ পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে এ বিমান প্রস্তুত করেছিল।
সূত্র: এএনআই
এমটিআই