সুদান, ইরিত্রিয়া এবং সিরিয়া থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী বহু মানুষ ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। মাঝ সমুদ্রে তাদের নৌকা থেকে উদ্ধার করে একটি এনজিও-র জাহাজ। পরে ২৩৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে জাহাজটি প্রথমে ইতালির বন্দরে নৌঙর করার চেষ্টা করে।

কিন্তু ইতালি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, তাদের পক্ষে এই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদেরকে ইতালিতে নামতেই দেওয়া হয়নি। পরে জাহাজটি সেখান থেকে ফ্রান্সের বন্দরে পৌঁছায়।

মঙ্গলবার ফ্রান্স জানায়, সব মিলিয়ে ২৩৪ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী আছেন। এর মধ্যে ৪৪ জনকে ফেরত পাঠানো হবে। কারণ, অভিবাসন প্রত্যাশার যথেষ্ট কারণ তারা দেখাতে পারেননি। অ্যাসাইলামের কোনো প্রয়োজন নেই তাদের। আর তাই এই ৪৪ জনকে তাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে ফ্রান্স জানিয়েছে।

বাকিদের ক্ষেত্রে কী হবে, তা স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। সকলেরই কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফরাসি প্রশাসন। অবশ্য অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৪৪ জন শিশুও আছে। তাদের নিয়ে কী করা হবে, সেটিও এখনও জানানো হয়নি। তবে আরও অভিবাসন প্রত্যাশীকে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ফরাসি প্রশাসন।

ইতালির বক্তব্য, ভূমধ্যসাগর পার করে যে আফ্রিকান অভিবাসন প্রত্যাশীরা ইউরোপে ঢুকতে চায়, তাদের একটি বড় অংশ প্রথম ইতালিতে পৌঁছায়। কারণ, সমুদ্র পার করে ইতালিতে পৌঁছানো তাদের পক্ষে সুবিধাজনক। এ কারণেই ইতালিতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী আছে বলে দেশটির দাবি।

আর এই কারণে ইতালি এই চাপ আর নিতে পারছে না বলেও একাধিকবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

কিন্তু যেভাবে ইতালি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জাহাজ তাদের বন্দরে ঢুকতে দেয়নি, ফ্রান্স তার তীব্র বিরোধিতা করেছে। ফ্রান্সের বক্তব্য, উদ্বাস্তু এবং অভিবাসনপ্রত্যআশীদের নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি লঙ্ঘন করেছে ইতালি।

টিএম