প্রেমিকাকে হত্যার পর মরদেহ ৩৫ টুকরো করে প্রথমে ফ্রিজে, পরে একটি জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিলেন আফতাব আমীন পুনেওয়ালা নামে এক যুবক। এদিকে ফ্রিজে প্রেমিকার মরদেহ রেখে অন্য এক তরুণীকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে এনেছিলেন ওই যুবক।

চাঞ্চল্যকর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে পুরো দেশটিকে।

পুলিশ জানায়, ‘বাম্লল’ নামে একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয়েছিল আফতাবের। মুম্বাই থেকে শুরু হওয়া সেই প্রেমের ইতি ঘটে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে। এর আগে তিন বছর একসঙ্গে (লিভ-ইন) ছিলেন ওই যুবক ও তরুণী।  

আরও পড়ুন>>বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে মেরে মরদেহ গুম

আরও জানায়, হত্যার পর শ্রদ্ধার মরদেহ কেটে ৩৫ টুকরো করে আফতাব। পরে তা রাখার জন্য ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজও কেনেন তিনি। এরপর ১৮ দিন ধরে দিল্লির একটি জঙ্গলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ফেলে দেন ওই ঘাতক প্রেমিক। 

এদিকে পুলিশের বরাতে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, শ্রদ্ধাকে হত্যা করার প্রায় তিন সপ্তাহ পর, একই অ্যাপে (বাম্বল) অন্য এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আফতাব পুনেওয়ালার, গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। শ্রদ্ধার মরদেহের অবশিষ্টাংশ বাসার ফ্রিজে থাকা অবস্থায় প্রায়ই ওই তরুণীকে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যেতেন আফতাব।  

আফতাব তার নতুন প্রেমিকাকে নিয়মিত বাসায় নেওয়া শুরু করার একপর্যায়ে শ্রদ্ধার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ফ্রিজ থেকে সরিয়ে আলমারিতেও রাখতেন। 

আরও পড়ুন>>প্রেমিকাকে হত্যার পর মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখেন তিনি

এদিকে প্রেমিকাকে হত্যায় আফতাব পুনেওয়ালাকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে কঠোর নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলির পুলিশ স্টেশনে রাখা হয়েছে আফতাবকে। 

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে আফতাব আমীন পুনেওয়ালা নামে এক যুবকের সঙ্গে ঝগড়া হয় তার প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের। এর জেরে সেদিনই শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে আফতাব। এ ঘটনায় শনিবার (১২ নভেম্বর) আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্রদ্ধাকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আফতাব পুনেওয়ালার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

এমএ