ছবি : ডন

দলীয় পদযাত্রায় গুলিবিদ্ধ ইমরান খানকে দেখতে পাকিস্তানে এসেছেন তার দুই ছেলে সুলেমান খান ও কাসিম খান। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য থেকে তারা লাহোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তানের দৈনিক ডন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী মিঞা আসলাম ইকবাল বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান। বাবাকে দেখতে আসা উপলক্ষ্যে দীর্ঘ ৬ বছর পর পাকিস্তানে পা রাখলেন সুলেমান খান ও কাসিম খান। সর্বশেষ ২০১৬ সালে পাকিস্তানে এসেছিলেন দুই ভাই।

আগাম নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর লাহোরের লিবার্টি চক থেকে লংমার্চ শুরু করেছিল ইমরান খানের নেতৃত্ত্বাধীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। ৪ নভেম্বর ইসলামাবাদের রাওয়াত এলাকায় সমাবেশের মাধ্যমে এই লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

লংমার্চ শেষের আগের দিন, ৩ নভেম্বর পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরের আল্লাহওয়ালা চকে সমাবেশ চলার সময় গুলিবিদ্ধ হন ইমরানসহ পিটিআইয়ের প্রথম সারির কয়েক জন নেতা।

ইমরান খানের পায়ে গুলি লেগেছিল। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরপরই তাকে লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

সুলেমান ও কাসিম ইমরান-জেমিমা দম্পতির দুই সন্তান। জেমিমা গোল্ডস্মিথ ইমরান খানের প্রথম স্ত্রী। ১৯৯৫ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই যুগল; ৯ বছর পর ২০০৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

জেমিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির কয়েক মাস পর বিবিসির সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করেন ইমরান খান, কিন্তু তার এক বছরের মধ্যেই ২০১৫ সালে রেহামের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে ইমরান খানের। তারপর ২০১৮ সালে বুশরা বিবি নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ইমরান।

অন্যদিকে বিচ্ছেদের পর জেমিমা গোল্ডস্মিথ পাকিস্তান থেকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে পেশাদার লেখালেখি, চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণে মন দেন। এই দম্পতির দুই সন্তান তাদের মায়ের সঙ্গেই থাকেন।

ইমরান খান যেদিন গুলিবিদ্ধ হন, সেদিনই এক টুইটবার্তায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেমিমা। ইমরান খানের জীবন আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় স্বস্তিও প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক পিয়ার্স মর্গানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেছিলেন, তার দুই ছেলে তাকে দেখার জন্য অধীর হয়ে উঠেছেন।

এসএমডব্লিউ