আফ্রিকার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় দেশ মিশরে চলছে কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলন। এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া অনুন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন অনুন্নত দেশগুলোকে আর্থিক জরিমানা প্রদান করে। কারণ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ধনী দেশ ও তাদের তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ী।  

বিশ্বকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর উপায় খুঁজে বের করতে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর নেতারা জড়ো হয়েছেন মিশরের কপ ২৭ জলবায়ু সম্মেলনে। ৬ নভেম্বর শুরু হওয়া সম্মেলনটি ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

পরিবেশ দূষণের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হওয়ায় ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছে। তাদের এখন আরও বেশি সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে দেশগুলো। এসব দ্বীপ রাষ্ট্র তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর কাছে জরিমানার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে আফ্রিকার দেশগুলো নতুন জলবায়ুর সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে আরও আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে।

কপ২৭ জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের ছোট দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছেন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউনি। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো প্রতিদিন ৩ বিলিয়ন ডলার লাভ করছে। এখন সময় হলো এই দেশগুলোর লাভ থেকে বৈশ্বিক কার্বন কর নেওয়া। (পরিবেশের) ক্ষয়ক্ষতির জন্য গঠিত তহবিলের একটি অর্থের উৎস হিসেবে তাদের কাছ থেকে এই কর নেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, যখন তারা লাভ করছে, বিশ্ব তখন পুড়ছে।’

বিশ্বের আরেক ছোট দ্বীপ রাষ্ট্র ভানুয়াতুর প্রেসিডেন্ট নিকেনিকে বুরোবারাভু বলেছেন, তারা চান আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত পরবর্তী প্রজন্মের অধিকার নিশ্চিত করুক। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদের দ্বারা যেন পরবর্তী প্রজন্মের অধিকার খর্ব না হয় তাও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যে যে উত্তেজনা চলছে সেটি অনুন্নত দেশগুলোর প্রতিনিধিদের মন্তব্যে আরও ফুটে ওঠেছে। বিশ্বের উন্নত ও ধনী দেশগুলো কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন কমানোর বিষয়ে অন্যদের চেয়ে বেশি উচ্চবাচ্য করলেও তারাই গত এক শতকে বিশ্বে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ সবচেয়ে বাড়িয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমটিআই