ইমরান খান ফিরছেন ২-৩ দিনের মধ্যেই
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে আবারও রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলটির জেষ্ঠ্য নেতা হাম্মাদ আজহার। গত ৩ নভেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে ভর্তি আছেন ইমরান খান।
০৩ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে লংমার্চ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে হামলার শিকার হন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী। হত্যার উদ্দেশ্য তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়, এতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। তারপর থেকে লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে ভর্তি আছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
বিজ্ঞাপন
তবে তিনি বেশিদিন হাসপাতালে থাকবেন না এমন ইঙ্গিত দিয়ে হাম্মাদ আজহার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী ২-৩ দিনের মধ্যেই রাজনীতিতে ফিরে আসছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে পিটিআই নেতা আজহার বলেন, ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হামলার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
এদিকে হামলায় আহত ইমরান খান তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আঙ্গুল তুলেছেন তিন জনের দিকে। ওই তিন জনের মধ্যে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ অন্যতম।
তবে ইমরানের হত্যাচেষ্টায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এমনকি হামলায় সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেলে হলে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে ঘোষণাও দিয়েছেন শেহবাজ।
শনিবার লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এই ঘটনায় আমার জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া গেলে আমার (প্রধানমন্ত্রীর) পদে থাকারই কোনো অধিকার নেই।’
ইমরান খান যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যদি এটা (ইমরানের ওপর হামলার প্রমাণ) পাওয়া যায় তাহলে আমি চিরতরে রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান ‘মিথ্যা ও সস্তা ষড়যন্ত্র’ করে দেশের ক্ষতি করছেন উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টকে ‘গুরুতর’ এই অভিযোগের তদন্তের জন্য একটি পূর্ণ-আদালত কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন শেহবাজ।
ওয়াজিরাবাদের সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ফয়সাল এই হামলায় সংশ্লিষ্ট বলে অভিযোগ করেছিলেন ইমরান খান। তবে তার সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এমটিআই