পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান নিজ দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ।পাশাপাশি, হামলাকারীকে আটক করা সেই যুবককে ‘নায়ক’ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই দম্পতির দুই সন্তানের পক্ষ থেকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর এক টুইটবার্তায় জেমিমা বলেন, ‘আমরা সবসময়ে যে সংবাদের আশঙ্কা করি…(তা ই ঘটল)। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, তিনি এখন সুস্থ আছেন। নায়োকোচিত যে মানুষটি ভিড়ের মধ্যে অস্ত্রধারীর মুখোমুখি হয়ে ইমরান খানকে বাঁচিয়েছেন, তাকে তার ছেলেদের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’

পৃথক এক টুইটে ইমরান খানের হামলাকারীকে আটক করা সেই যুবকের ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি। সেখানেও তাকে নায়ক হিসেবে উল্লেখ করেছেন করেছেন জেমিমা।

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান বৃহস্পতিবার তার নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের এক পদযাত্রা কর্মসূচিতে গুলিবিদ্ধ হন। সেই সময় পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে সমাবেশে ছিলেন তিনি।

ওয়াজিরাবাদে সমাবেশ চলাকালে স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে একে-৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে গুলি চালায় এক হামলাকারী। আরেক হামলাকারী ইমরানের দিকে পিস্তল তাগ গুলি চালিয়েছিল।

আরও পড়ুন : পাকিস্তানের বিপজ্জনক রাজনীতি 

পিস্তল দিয়ে যে হামলাকারী হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাকে হামলার সময়েই পাকড়াও করেন বছর তিরিশের এক যুবক। তিনি ঠিক সময়ে তৎপর না হলে নিহতও হতে পারতেন পিটিআিই চেয়ারম্যান।

একে ৪৭ অস্ত্রধারী হামলাকারীর বন্দুক থেকে বের হওয়া ৩ থেকে ৪টি গুলি ইমরান খানের পায়ে বিদ্ধ হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি আশঙ্কামুক্ত।

জেমিমা গোল্ডস্মিথ ইমরান খানের প্রথম স্ত্রী। যুক্তরাজ্যের নাগরিক জেমিমার সঙ্গে ইমরান খান বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৯৯৫ সালে, পরে ২০০৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সুলাইমান ইসা ও কাসিম নামে এই দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে।

জেমিমার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির কয়েক মাস পর বিবিসির সাংবাদিক রেহাম খানকে বিয়ে করেন ইমরান খান, কিন্তু ২০১৫ সালেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারপর ২০১৮ সালে বুশরা বিবি নামের এক নারীকে বিয়ে করেন ইমরান।

অন্যদিকে বিচ্ছেদের পর জেমিমা গোল্ডস্মিথ পাকিস্তান থেকে নিজের দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে পেশাদার লেখালেখি, চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণে মন দেন। ইমরান-জেমিমা দম্পতির দুই সন্তান তাদের মায়ের সঙ্গেই আছেন।

এসএমডব্লিউ