ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলিট ফোর্স ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সদস্যরা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানের উপকূল থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার চোরাই জ্বালানি তেলবাহী একটি বিদেশি ট্যাংকার জাহাজ আটক করেছে।

সোমবার পারস্য উপসাগর থেকে আইআরজিসির সদস্যরা ক্যাপ্টেন ও ক্রুসহ জাহাজটি আটক করেন বলে ইরানের আধাসরকারি সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ইরানের বিচার বিভাগের হরমোজগান প্রাদেশিক শাখার এক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোজতবা ঘাহরেমানি।  

ঘাহরেমানি বলেন, ‘আইআরজিসিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের অংশ ‍হিসেবে আটকৃত বিদেশি জাহfজটির ক্যাপ্টেন ও ক্রুদের জিজ্ঞাসাবাদ করাও শুরু হয়েছে।’

জাহাজটি কোন দেশের— সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য দেননি তিনি; তবে বলেছেন, জাহাজটি থেকে উদ্ধার হওয়া জ্বালানি তেলের বর্তমান বাজারমূল্য ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ইরানি রিয়াল বা প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তাসনিম নিউজে সেই ট্যাংকার জাহাজটির একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

মোহসিন ঘাহরেমানি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, গত কয়েক দিন ধরে ইরানের জলসীমার ধারে কাছে বিচরণ করছিল এই ট্যাংকার জাহাজটি, এবং এই সময়সীমায় ইরানের স্থানীয় কিছু লাইটার জাহাজ ও নৌযান থেকে তেল (জাহাজটিতে) তেল সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের মধ্যে কারা এই পাচারের সঙ্গে যুক্ত— সেই বিষয়ক তদন্তও শুরু হয়েছে।’

পরমাণু প্রকল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার জেরে গত কয়েক বছরে দুর্বল হয়ে পড়েছে ইরানের অর্থনীতি। দেশটির মুদ্রা ইরানি রিয়ালের দামও কমে গেছে। সেই সঙ্গে দেশটির উপকূলীয় অঞ্চল দিয়ে ব্যাপকভাবে বাড়ছে জ্বালানি তেলের চোরাচালান।

সাম্প্রতিক বছর গুলোতে আইআরজিসি কয়েকটি চোরাচালান আটক করেছে, তবে এবার যে চালানটি আটক হলো— তা বিগতগুলোর চেয়ে অনেক বড়।

মোজতবা ঘাহরেমানি জানিয়েছেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালানের দায়ে গ্রেপ্তার ক্যাপ্টেন ও ক্রুদের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হবে। সেই সঙ্গে আটক জাহাজটিও ইরান সরকারের হেফাজতে রাখা হবে।

এসএমডব্লিউ