যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪টি অঙ্গরাজ্য আছে, দাবি বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আবারও তার গাফিলতির জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছেন। এবার ৭৯ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৪টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে এবং সেখানে তিনি নাকি প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। রোববার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘পেনসিলভানিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টি রিসেপশনে’ ভাষণ দিচ্ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে ৭৯ বছর বয়সী ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ওবামাকেয়ারকে রক্ষা করতে ২০১৮ সালে ‘৫৪ অঙ্গরাজ্যে’ প্রচারণা চালিয়েছিলেন তিনি।
নিজের ওই বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওবামাকেয়ার বাতিলের বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছিলেন। কিন্তু এটি যাতে না ঘটে সেজন্য ডেমোক্র্যাটরা ২০১৮ সালে পাল্টা কঠোর প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায়, ‘এবং, অবশ্যই তারা (রিপাবলিকান) ৪৯৯তম বারের জন্য চেষ্টা করতে চলেছেন, বা সংখ্যা যাই হোক না কেন - তারা এখনও অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট-কে বাতিল করতে বদ্ধপরিকর। আর তারা যদি সেটা, তার মানে - সেটা কোনো তামাশা নয়।’
বক্তৃতায় বাইডেন আরও বলেন, ‘তাই ২০১৮ সালে যখন তারা (রিপাবলিকান) এটি করার চেষ্টা করেছিল তখন আমরা এটিকে ঠেকিয়ে দিয়েছিলাম। আমরা ৫৪টি অঙ্গরাজ্যে গিয়েছিলাম।’
বাইডেনের বক্তব্যের এই ভিডিও ফুটেজটি অনলাইনে প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ এই অসমীচীন মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জো বাইডেন এখন বলছেন, (যুক্তরাষ্ট্রে) ৫৪টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। পরবর্তী ভাষণে তিনি ৮১ মিলিয়ন ভোটের ব্যাখ্যা দেবেন।’
আরেক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ৫৪টি অঙ্গরাজ্যে গেছেন। যীশু আমাদের সবাইকে সাহায্য করুন।’
তৃতীয় আরেক ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘জো বাইডেন দৃশ্যত মনে করেন যে, দেশে ৫৪টি অঙ্গরাজ্য রয়েছে। এই লোকটি সম্পূর্ণ বৃদ্ধ হয়ে গেছে।’
এর আগে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য ঋষি সুনাককে অভিনন্দন জানান জো বাইডেন। তবে সেসময় নিজের বক্তৃতায় সুনাকের নাম নিয়ে বাইডেন কার্যত হোঁচট খান এবং তাকে ‘রাশি সানুক’ বলে ডাকেন।
টিএম