চাকরিচ্যুত আগারওয়াল টুইটার থেকে পেতে পারেন ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার থেকে চাকরি হারানোর পর বকেয়া বেতন-ভাতা ও ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার পেতে পারেন টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী (সিইও) পরাগ আগারওয়াল। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৪২৮ কোটি টাকারও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইকুইলিয়ার গত এপ্রিলে এই তথ্য জানিয়েছিল। ওই মাসেই টুইটার কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক; এবং তিনি এই ইচ্ছে প্রকাশের পরই গুঞ্জন উঠেছিল— ইলন মাস্ক এই প্রতিষ্ঠান কিনলে চাকরি হারাতে পারেন পরাগ আগারওয়াল।
বিজ্ঞাপন
সেই সময়েই হিসেব কষে ইকুইলিয়ার জানিয়েছিল, টুইটারের মালিকানা পরিবর্তনের ১২ মাসের মধ্যে যদি পরাগ চাকরিচ্যুত হন, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম, চাকরি শর্ত ও বেতন কাঠামো অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৪ কোটি ২০ লাখ ডলার পাবেন তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার টুইটারের মালিকানা গ্রহণ করেন টেসলা ও স্পেসএক্সের স্বত্ত্বাধিকারী এবং বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। মালিকানা গ্রহণের পরই তিনি টুইটারের সিইও পরাগ আগারওয়ালসহ প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করেন।
চাকরিচ্যুতদের মধ্যে টুইটারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সিগাল এবং আইন ও নীতিমালা বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা বিজয়া গাড্ডেও রয়েছেন।
টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসির অপ্রত্যাশিত পদত্যাগের পর ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরমের সিইও পদে আসেন পরাগ আগারওয়াল। সে সময় প্রতিষ্ঠান থেকে তার বার্ষিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ লাখ ডলার।
টুইটারের সিইও হওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানটির আইন বিভাগের প্রধান ছিলেন পরাগ। ২০১৭ সালে এই পদে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের স্বত্ত্বাধিকারী ও সিইও মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে ব্যাক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে চলতি বছর এপ্রিলে টুইটার কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ইলন মাস্ক। ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বিনিময়ে এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফরমটি কিনবেন বলে টুইটারের তৎকালীন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিও করেন তিনি।
কিন্তু একমাস পরেই বেঁকে বসেন মাস্ক। টুইটারে থাকা ভুয়া অ্যাকাউন্টের বিষয়ে পরাগ তাকে তথ্য দিচ্ছেন না— অভিযোগ তুলে কেনার চুক্তি থেকে সরে আসার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি।
বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। পরে আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়েই টুইটার কেনার আনুষ্ঠানিকতা সারেন মাস্ক।
সূত্র : ব্লুমবার্গ
এসএমডব্লিউ