দুই দশকের বেশি সময় পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের। নতুন এই সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। 

মল্লিকার্জুনের পূর্বসূরি সোনিয়া গান্ধী প্রায় আড়াই দশক আগে কংগ্রেসের হাল ধরেছিলেন, তখনও দলে সঙ্কট ছিল। কিন্তু এখন তা গভীরতর হয়েছে। 

১৯৯৮ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের হারের পর সীতারাম কেশরীকে সরিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল সোনিয়ার কাঁধে। সে সময় দেশের মাত্র ৩টি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দীপ্রাচীন দল। কিন্তু লোকসভায় নির্বাচিত সাংসদের সংখ্যা ছিল ১৪১। গত দু’টি লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি ঝড়ের মুখে ষাটের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি কংগ্রেস। 

পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন না হলে জগজীবন রামের পরে প্রথম দলিত কংগ্রেস সভাপতিকে সামনে রেখেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে লড়তে নামবে কংগ্রেস। সেখানে দলিত এবং অনগ্রসর ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মোদি যে ভাবে হিন্দু ভোটব্যাঙ্কের ছাতার তলায় দলিত, ওবিসি, সবাইকেই টেনে এনেছেন, তাতে ফের দলিত ভোট ফিরে পাওয়াটা খাড়গে নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের সামনে কঠিন লড়াই বলেই মনে করা হচ্ছে।  

লোকসভা ভোটের আগে হিমাচল প্রদেশ, গুজরাট, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানসহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা ভোটও রয়েছে। শেষ দু’টি রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দলের অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। ফলে লোকসভা ভোটের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাও খাড়গের বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুরকে বিপুল ব্যবধানে পেছনে ফেলে জয়ী হন খাড়গে। ভোট পড়েছিল ৯,৩৮৫টি। তার মধ্যে খাড়গে পান ৭ হাজার ৮৯৭ ভোট। 

১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে যাচ্ছেন। 

এনএফ