ছবি: আরটি

ইউক্রেনে রুশ বাহিনী সামরিক অভিযান শুরুর পরপর ইউরোপের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সরকারি-বেসরকারি কোম্পানি ও রুশ ব্যবসায়ীদের যে অর্থ জব্দ করেছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, সেই অর্থ থেকে এখন ইউক্রেনকে সহায়তা দিতে চান ইউরোপীয় নেতারা।

ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অঙ্গসংগঠন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে এই তথ্য জনিয়েছেন।

তাসকে চার্লস মিশেল বলেন, ‘ইউক্রেনকে পুনর্গঠন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা (রাশিয়ার) জব্দকৃত অর্থ ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।’

ইউরোপীয় নেতারা এ ব্যাপারটি ইইউর প্রধান কার্যনির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশনে এ ব্যাপারটি লিখিত প্রস্তাবনা আকারে উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেছেন মিশেল।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইউরোপ। সেই নিষেধজ্ঞার অংশ হিসেবে প্রথমেই জব্দ করা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে জমা থাকা ৩০ হাজার কোটি ডলার। এই অর্থের মধ্যে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব রাশিয়া’র অর্থ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন রুশ কোম্পানি ও ব্যবসায়ীদের অর্থও।

তবে জব্দ করা হলেও আইনত এই অর্থ এখনও রাশিয়া ও তার নাগরিকদের। যদি এই অর্থ ইউক্রেন বা অন্য কোনো খাতে ব্যয় করতে চান ইউরোপীয় নেতারা, তাহলে প্রথমে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে— যা এখনও তারা করেননি।

শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ঘোষণা দিয়েছেন, এখন থেকে ইউক্রেনকে প্রতি মাসে দেড়শ কোটি ডলার সহায়তা দেবে ইইউ। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার জব্দকৃত তহবিল থেকেই দেওয়া হবে এই অর্থ।

তবে ইউরোপের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এই পরিকল্পনার বিরোধী। দেশটির ট্রেজারি বিভাগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন ও কয়েকজন শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, এটি বেআইনী একটি পরিকল্পনা এবং ইইউ যদি এই পদক্ষেপ নেয়— তাহলে অদূর ভবিষ্যতে অনেক দেশ ইউরোপে বিনিয়োগ করতে ভয় পাবে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইইউয়ের এই পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এটা হলো পশ্চিমের রাশিয়ার সম্পদ চুরি করার নতুন ফন্দি।’

এসএমডব্লিউ