ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (ফাইল ছবি)

ইরানের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে মস্কোকে অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি প্রথম দিকে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেছে ইরান। এতে চটেছে ইউক্রেন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলায় ইরানের ড্রোন ব্যবহার রাশিয়ার ‘সামরিক দেউলিয়াত্বকে’ তুলে ধরেছে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের তৈরি ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহার রাশিয়ার ‘সামরিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের’ প্রতীক বলে মন্তব্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মঙ্গলবার জেলেনস্কি তার ভাষণে বলেন, ‘ইরানের কাছে এই ধরনের সহায়তার জন্য রাশিয়ার আবেদনের বাস্তবতা হলো ক্রেমলিনের সামরিক ও রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের স্বীকৃতি।’

কিন্তু জেলেনস্কির দাবি, ‘কৌশলগতভাবে, এটি তাদের (রাশিয়াকে) কোনোভাবেই সাহায্য করবে না।’

জেলেনস্কির ভাষায়, ‘এটি বিশ্বের কাছে এটাই প্রমাণ করে যে, রাশিয়া পরাজয়ের পথে রয়েছে এবং অন্য দেশকে সন্ত্রাসের সহযোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছে।’

এদিকে ইরানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই প্রস্তাবে এখনও সায় দেননি জেলেনস্কি। ইরানি ড্রোন ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে ইউক্রেনীয় এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা অবশ্যই এর জন্য উপযুক্ত আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করব।’

এএফপি বলছে, ইউক্রেন এবং দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হামলায় ইরানের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেছে। ক্রেমলিন মঙ্গলবার বলেছে, তাদের সেনাবাহিনী এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

অন্যদিকে তেহরান প্রথমে জানায়, ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করছে এমন ‘ভিত্তিহীন’ দাবি স্পষ্ট করতে কিয়েভের সাথে আলোচনার জন্য প্রস্তুত তেহরান। তবে পরে রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটি।

বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন আরাশ ২ এবং স্বল্পপাল্লার সার্ফেস টু সার্ফেস ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র জুলফগার ও ফাতেহ কিনতে সম্প্রতি তেহরানের সঙ্গে চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে মস্কো।

গত ৬ অক্টোবর মস্কো সফরে গিয়েছিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের এবং ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এলিট ফোর্স রেভোল্যুশনারি গার্ডের দু’জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। সে সময়ই এই সমরাস্ত্র বিক্রয় সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

টিএম