দেড় মাসের মাথায় ক্ষমতা হারানোর শঙ্কায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
প্রায় দেড় মাস আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লিজ ট্রাস। এর মধ্যেই কার্যত বিদ্রোহের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি। ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টায় নামছেন বলে খবর বের হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এই সংবাদ সামনে এনেছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাউনিং স্ট্রিটের সতর্কতা সত্ত্বেও ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা এই সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করবেন বলে ডেইলি মেইল জানিয়েছে। এর ফলে ফের সাধারণ নির্বাচনের দিকে যেতে পারে ইউরোপের প্রভাবশালী এই দেশটি।
অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ১০০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) লিজ ট্রাসের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে চিঠি জমা দিতে প্রস্তুত। এই চিঠি তারা কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব প্রতিযোগিতার আয়োজনকারী কমিটির প্রধান গ্রাহাম ব্র্যাডির কাছে জমা দেবেন।
ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত। মূলত ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে এই সংকটের কারণেই ব্রিটেন তিনজন প্রধানমন্ত্রীকে হারিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমপিরা ব্র্যাডির কাছে ট্রাসকে এটাই বলতে অনুরোধ করবেন যে, ‘তার (ট্রাসের) সময় শেষ’ বা তার নেতৃত্বে অবিলম্বে আস্থা ভোটের অনুমতি দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক দলের নিয়ম পরিবর্তন করতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গ্রাহাম ব্র্যাডি এই পদক্ষেপে বাধ সাধছেন বলে জানা গেছে। তার যুক্তি, নবনিযুক্ত চ্যান্সেলর অর্থাৎ ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের সাথে আগামী ৩১ অক্টোবরের বাজেটে অর্থনৈতিক কৌশল নির্ধারণের সুযোগ পাওয়ার যোগ্য লিজ ট্রাস।
অন্যদিকে পৃথক এক রিপোর্টে দ্য টাইমস জানিয়েছে, ব্রিটেনের কিছু আইনপ্রণেতা ট্রাসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবং তার স্থলে নতুন নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে গোপনে আলোচনা করেছেন।
রয়টার্স বলছে, কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত মাসে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌঁড়ে জয়ী হন লিজ ট্রাস। তবে সেসব প্রোগ্রামের মূল অংশগুলোকে বাদ দেওয়ার পর এখন নিজের রাজনৈতিক জীবন বাঁচিয়ে রাখার জন্য কার্যত লড়াই করছেন তিনি।
ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টির চেয়ে পিছিয়ে থাকা এই দলটিতে বিশৃঙ্খলার কারণে অসন্তোষ সৃষ্টির বিষয়টি জনমত জরিপে উঠে এসেছে বলেও জানিয়েছে রয়টার্স।
টিএম