করোনার নতুন ধরন: তেলের দাম কমলো প্রায় ৩ শতাংশ
যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে দুই শতাংশ। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দাম এখন ৫০ ডলারেরও নিচে।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে ব্রিটেনে যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন স্থগিত করেছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ। ইউরোপের বাইরেও বেশ কয়েকটি দেশ যুক্ত হয়েছে এ তালিকায়।
বিজ্ঞাপন
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর চলতি বছর মার্চ থেকে; যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যায়।
তবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথগুলো পুনরায় চালু করতে কাজ করছে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মান নির্ধারণে স্বীকৃত দু’টি মাপকাঠি বা ক্যাটাগরি হলো ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েল।
মার্চ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েল বিক্রি হয়েছে ৫০ দশমিক ১৯ ডলারে যা পূর্বের তুলনায় ৭২সেন্ট (পয়সা) বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
বিশ্বজুড়ে কোভিড প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন ও যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ক্ষতির শঙ্কায় পড়ে জ্বালানি তেলের বাজার। এই শঙ্কা সত্য হয় চলতি বছর মার্চ থেকে; যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যায়।
মার্চ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েল বিক্রি হয়েছে ৫০ দশমিক ১৯ ডলারে যা পূর্বের তুলনায় ৭২সেন্ট (পয়সা) বা ১ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
একই সময়ে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৪৭ দশমিক ২১ ডলারে, পূর্বের তুলনায় যা ৭৬ সেন্ট (পয়সা) বা ১ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
তবে সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে এই দুই ক্যাটাগরির তেলের দামই কমেছে প্রায় ৩ শতাংশ।
অপরিশোধিত তেল ব্যবসায়ী টমান ভার্গা হতাশা প্রকাশ করে এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই হতাশার। অদূর ভবিষ্যতে এর উন্নতি হবে এমনটাও আশা করতে পারছি না। যদি শুধু আগের সময়ে(কোভিডপূর্ব পরিস্থিতি) ফিরে যেতে পারি, সেটিই যথেষ্ট’।
তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর জোট ওপেক এ বছরের জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চলতি বছর থেকে জোটভূক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বা উত্তোলন করবে।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সংক্রমণ দেখা দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে দেশের জ্বালানি তেল খাতে ভর্তুকি দেওয়া শুরু করে।
এখন পর্যন্ত এই খাতে দেশটি সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ৮৯২ বিলিয়ন ডলার (১ বিলিয়ন=১০০কোটি)। এ ছাড়া তেল উৎপাদন বা উত্তোলনেও লাগাম টেনেছে দেশটি।
অনুমিত হিসাবের তুলনায় চলতি বছর ৩৩ লাখ (৩.৩ মিলিয়ন) ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ বিষয়ে আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইন্সটিটিউটের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, অনুমিত হিসাবের তুলনায় চলতি বছর ৩৩ লাখ (৩.৩ মিলিয়ন) ব্যারেল তেল কম উত্তোলন করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোর জোট ওপেক এ বছরের জানুয়ারিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল চলতি বছর থেকে জোটভূক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বা উত্তোলন করবে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তেলের দাম কমে যাওয়ায় কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে ওপেক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
সূত্র: রয়টার্স
এসএমডব্লিউ/এএস