করোনায় মৃত্যু হাজারের নিচে, শনাক্ত পৌনে ৩ লাখ
চলমান করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে পৌনে তিন লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে তাইওয়ান, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৯৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৭০ হাজার।
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে পাঁচ শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৬৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় দেড় লাখ। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৯৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৩৯৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬২ লাখ ১৬ হাজার ৬৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮১৬ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় উঠে এসেছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৯৮ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ২০০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৭ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৭০ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৮ লাখ ২৫ হাজার ৬৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৫১০ জন এবং মারা গেছেন ৭৭ জন।
জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৮ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৩৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৫ হাজার ৮২৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৭ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯১ হাজার ৭৭০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ১৯৫ জনের।
ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৬৮ জন এবং মারা গেছেন ৭৩ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ৭৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৫৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৩৬৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
টিএম