ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী গরবা নাচে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কয়েকজন মুসলিমকে খুঁটিতে আটকে মারধর করা হয়েছে। গুজরাটের খেদা জেলার উধেলা গ্রামে পুলিশের হাতে মুসলিমদের মারধরের এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে। এই ঘটনাকে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, খেদা জেলায় মুসলিমদের লাঠি দিয়ে মারধর করেছে সেখানকার স্থানীয় সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যো। নবরাত্রির অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাদের মারধর করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত মুসলিমদের একের পর এক খুঁটিতে দুই হাত শক্ত করে টেনে ধরছেন পুলিশের দুই সদস্য। এ সময় পুলিশের অপর এক সদস্য পেছন থেকে তাদের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। পুলিশের সদস্যরা যখন মুসলিমদের মারপিট করেন, তখন সেখানে উপস্থিত স্থানীয় জনতা উল্লাসে ফেটে পড়েন।

মারধরের শিকার ব্যক্তিদের জনসম্মুখে দুই হাত তুলে ক্ষমা প্রার্থনা করতেও দেখা যায় ভিডিওতে। এই ভিডিও ঘিরে দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পরে রাজ্য পুলিশের প্রধান আশীষ ভাটিয়া এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আমি এই ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমরা অভিযোগের গুরুত্বের ওপর নির্ভর করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, গুজরাটের এই ঘটনাকে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংগঠনটি বলেছে, পশ্চিম ভারতের গুজরাট রাজ্যে মুসলিম পুরুষদেরকে পুলিশের বেত্রাঘাতের ঘটনার মাধ্যমে ‘আইনের প্রতি সম্পূর্ণ অসম্মান’ প্রদর্শন করা হয়েছে।

এক টুইট বার্তায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ‘আমরা গুজরাট পুলিশকে মনে করিয়ে দিতে চাই, শাস্তি দেওয়া কখনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজ হতে পারে না; তা যতই কম প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হোক না কেন। গুজরাট পুলিশ এই ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, যৌক্তিকতা এবং জবাবদিহির নীতিকে উপেক্ষা করেছে।’

সূত্র: এনডিটিভি, আলজাজিরা।

এসএস