ফাইল ছবি

আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দেশটি দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

এর আগে গত মঙ্গলবার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটি। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের মঙ্গলবার জাপানের ওপর মধ্যবর্তী-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বসে। তবে উত্তর কোরিয়া ‘কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি’ করার জন্য ওয়াশিংটনকে দায়ী করেছে।

এএফপি বলছে, গত দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ৬ বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ মহড়ার বিরুদ্ধে কোরিয়ান পিপলস আর্মির ন্যায্য পাল্টা পদক্ষেপ’ হিসেবে সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের প্রথম দিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানায়, তারা পিয়ংইয়ংয়ের সামসোক এলাকা থেকে পূর্ব সাগরের দিকে উৎক্ষেপণ করা দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে। মূলত পূর্ব সাগরটি জাপান সাগর নামেও পরিচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমন্বয় করে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখছে।’

জাপানের কোস্টগার্ডও দুটি সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষেণাস্ত্রের সিরিজ এই পরীক্ষা ‘অগ্রহণযোগ্য’।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদার দেওয়া তথ্য অনুসারে, বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার (২১৭ মাইল) উড়েছিল। অন্যদিকে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়েছিল প্রায় ৮০০ কিলোমিটার।

হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘লক্ষ্য যেটাই হোক, উত্তর কোরিয়ার বারবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ সহ্য করা যায় না। আমরা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য উন্নতিকে উপেক্ষা করতে পারি না।’

টিএম