হোয়াইট হাউসেই গোপনে করোনার টিকা নেন ট্রাম্প মেলানিয়া
গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ত্যাগের আগে গোপনে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টার বরাত দিয়ে স্থানীয় সময় সোমবার (১ মার্চ) একথা জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরে আয়োজিত কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে (সিপিএসি) বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রথমবারের মতো মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করার একদিন পরই এই খবর সামনে এলো। গত রোববার অনুষ্ঠিত সিপিএসি’র ওই রাজনৈতিক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সবাই যার যার করোনা টিকা নিয়ে নেবেন।’ প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসে একথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
এরপরই সাবেক এই প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিউইয়র্ক টাইমস। সেখানে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই করোনা টিকা নিয়েছেন কিনা প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি উত্তর দেন- হ্যা, তিনি (ট্রাম্প) টিকা নিয়েছেন; গোপনে, এক মাস আগে।
করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ট্রাম্প কী জানুয়ারিতেই নিয়েছেন, নাকি দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোনো সময় নিয়েছেন- সে বিষয়ে ওই উপদেষ্টা কিছু বলেননি।
মার্কিন এই গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ট্রাম্পের কিছু সংখ্যক সমর্থক করোনা টিকা নিতে অনীহা জানানোর পর গোপনে ট্রাম্পের ভ্যাকসিন নেওয়ার খবরটি সামনে আসে। করোনার টিকা গ্রহণে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে দেশটির অনেক কর্মকর্তাই প্রকাশ্যে টিকা নিচ্ছেন। এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স করোনার টিকা নিয়েছিলেন। তাদের টিকা গ্রহণের সেই দৃশ্য টেলিভিশনে প্রচার করা হয়েছিল।
তবে করোনা টিকা নেওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজেও টিকা নেওয়ার কথা জানাননি কিংবা ক্ষমতা থেকে বিদায়ের আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশের মানুষকে টিকা নিতে উদ্বুদ্ধও করেননি।
উল্লেখ্য, স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পসহ সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট গত নির্বাচনের আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ট্রাম্পকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিল।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
টিএম