ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়িয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি। নিয়ম অনুযায়ী, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে গেলে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়।

রোববারের ফলাফলে সেটি না হওয়ায় বামপন্থি লুলা এবং ডানপন্থি বলসোনারো দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনে লড়বেন। অবশ্য প্রথম দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা। সোমবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট হতে হলে ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট। আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো পেয়েছেন ৪৩.৬ শতাংশ ভোট।

সংবাদমাধ্যম বলছে, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো হারতে চলেছেন বলে সবাই ধারণা করেছিল। বিগত কয়েক বছর ধরে বিতর্কিত নানা সিদ্ধান্তের কারণে বারবার জনরোষের মুখে পড়ায় নির্বাচনের ফলেও তার প্রভাব দেখা যাবে বলে আশা করা হয়েছিল।

তবে সকলকে চমকে দিয়েই ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পান বলসোনারো। অন্যদিকে তার প্রতিপক্ষ লুইস ইনাসিও লুলা দ্য সিলভাও পেয়েছেন আরও বেশি ভোট। তবে কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায়, ফের আয়োজন করা হবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। রোববার ব্রাজিলের নির্বাচন কমিশন থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রাজিলের নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রথম দফার ভোটে প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করলেও, ভোটগণনায় তার থেকে এগিয়ে রয়েছেন প্রতিপক্ষ লুলা দ্য সিলভা। প্রথম দফায় বলসোনারো পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে লুলা পেয়েছেন ৪৮ শতাংশ ভোট। মূলত কোনো প্রার্থীই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারায় আগামী ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

একাধিক সংবাদমাধ্যমের জরিপে দেখানো হয়েছিল, প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী লুলা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ভোটে এগিয়ে থাকবেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ভোটের ব্যবধান মাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় লুলা জেলে ছিলেন, তাই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। তবে এবার তিনি অন্যদের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।

উল্লেখ্য,  ২০১৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন জাইর বলসোনারো। তবে অ্যামাজনে নির্বিচারে গাছ কাটা থেকে শুরু করে ইচ্ছাকৃত দাবানল সৃষ্টি, জনবিরোধী বিভিন্ন নীতিসহ একাধিক অভিযোগে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা হারান কট্টরপন্থি এই প্রেসিডেন্ট।

তবে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট যেই হোক, তাকে পেতে ব্রাজিলের নাগরিকদের অপেক্ষা করতে হবে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত।

টিএম