পরমাণু হামলা করলে রাশিয়াকে বিপর্যয়কর পরিণতির হুঁশিয়ারি আমেরিকার
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির এমন মন্তব্যে রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে ‘কৌশলগত’ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়।
জাতিসংঘে অনেকটা একই কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে মস্কোকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখণ্ডগুলোকে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার পর সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সর্বশেষ মন্তব্যের পর রোববার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে এখন ভোট চলছে। বলপ্রয়োগ করে দখল করা এসব অঞ্চলে রোববার তৃতীয় দিনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষ হওয়ার পর রাশিয়ান পার্লামেন্ট কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো এই সংযোজনকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে।
আলজাজিরা বলছে, পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেতস্ক, খেরসন এবং জাপোরিজিয়া- এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার পর সেখানে কোনো হামলা হলে সেটা রাশিয়ার ওপর আক্রমণ হিসাবে দেখাতে পারে মস্কো। আর এটি কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য একটি সতর্কতা।
এছাড়া ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখণ্ডকে রাশিয়ায় সংযুক্ত করা রাশিয়া এবং ন্যাটো সামরিক জোটের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। কারণ ইউক্রেনীয় সৈন্যরা পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে এই অঞ্চলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রোববার বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যেকোনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এটি মস্কোকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতির’ মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
এনবিসির মিট দ্য প্রেস নিউজ প্রোগ্রামকে সুলিভান বলেছেন, ‘রাশিয়া যদি এই লাইনটি (পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সীমা) অতিক্রম করে তবে রাশিয়াকে বিপর্যয়কর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ স্পষ্টভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’
টিএম