আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ওয়াজির আকবর খানের একটি মসজিদে বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণে নিহত ও আহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, তবে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ওয়াজির আকবর খান এলাকাটি কাবুলের ‘গ্রিন জোন’ বা অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। ২০২১ সালে তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের আগ পর্যন্ত এই এলাকায় অনেক দেশের দূতাবাসের পাশপাশি ন্যাটোর একটি দপ্তরও ছিল। এখন অবশ্য ওই এলাকা পুরোপুরি তালেবান নিয়ন্ত্রিত।

আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা যখন মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি, কিন্তু শুক্রবার ওই মসজিদটিতে যারা জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন— তারা সবাই বেসামরিক সাধারণ মানুষ। ঘটনার পর তালেবান সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেই এলাকাটি ঘিরে ফেলেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি ও গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার না করলেও ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগানিস্তান শাখা আইএস-খোরাসান (আইএস-কে) এই হামলার জন্য দায়ী।

মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখল করে তালেবান। তারপর গত এক বছরে রাজধানী কাবুলসহ বিভিন্ন শহরের কয়েকটি মসজিদে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী বোমা হামলা করেছে আইএস-কে।

তালেবান ও আইএস-কে— উভয়ই কট্টরপন্থী সুন্নি ইসলামি গোষ্ঠী হলেও এই দুই সংগঠনের পরস্পরের মধ্যে চরম বৈরিতা রয়েছে। এ বৈরির প্রধান কারণ এই দুই সংগঠনের মতাদর্শিক ভিন্নতা।

তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানকে বিদেশি প্রভাবমুক্ত একটি কট্টর ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে ইচ্ছুক। অন্যদিকে আইএস-কে চায়, তুরস্ক থেকে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান ও উপমহাদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হোক।

এসএমডব্লিউ