বন্যা-দুর্গত মানুষের সহায়তায় পাকিস্তান সফরে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে পাকিস্তান। বিশাল এই বন্যায় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে পাকিস্তান সফরে গেছেন বিখ্যাত হলিউড তারকা অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচিতে পৌঁছান তিনি। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এবং ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অনুসারে, ‘সল্ট’ সিনেমার এই অভিনেত্রী মঙ্গলবার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের দাদু শহরে পৌঁছান। সেখানে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কাছ থেকে সরাসরি তাদের চাহিদা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ভোগ প্রতিরোধের পদক্ষেপ সম্পর্কে শোনেন।
ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একটি বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বিধ্বংসী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তান সফর করছেন। পাকিস্তানজুড়ে প্রবল বর্ষণ এবং বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং দেশের এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতি সচক্ষে দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের চাহিদা সরাসরি শুনতে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ভোগ প্রতিরোধের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পাকিস্তান সফর করছেন তিনি।’
আইআরসি’র প্রকাশিত এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইতোপূর্বে ২০১০ সালের বন্যা এবং ২০০৫ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে পাকিস্তান সফর করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। সফরে তিনি আইআরসি’র জরুরি কার্যক্রম এবং আফগান শরণার্থীসহ বাস্তুচ্যুত লোকদের সহায়তাকারী স্থানীয় সংস্থাগুলোও পরিদর্শন করবেন। এসময় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তাদের জন্য জরুরি সহায়তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন।’
সংবাদমাধ্যম বলছে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলা করছে এবং চলমান এই বন্যায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৫৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এক টিভি ফুটেজে অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচির একটি বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেখা যায়। গত জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে সেখানে বন্যায় ৬৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যায় হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পাঁচ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, করাচি থেকে জোলি বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে দাদু জেলাও রয়েছে। চলমান বন্যায় দাদু জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর একটি। সেখানে পানিবাহিত রোগের কারণে জুলাই থেকে প্রায় ৩০০ জন মারা গেছেন।
অবশ্য জোলির দাদু সফর সম্পর্কে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
টিএম