কলকাতা বন্দরে কাত হয়ে অর্ধেক ডুবে যাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এম ভি মেরিন ট্রাস্ট তোলা হলো দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ মাস পর। একইসঙ্গে তোলা হলো ডুবে যাওয়া ১৬৫টি কনটেইনার। 

শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাহাজটিকে নেতাজি সুভাষ ডকে পাঠানো হয়েছে। এখন থেকে ব্যবহার করা যাবে ৫ নম্বর বার্থ।   
 
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি। চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল পণ্যবাহী এ জাহাজের। যাত্রার দিনই সকালে শেষ হয় কনটেইনার তোলার কাজ। এর দুই ঘণ্টা পরই কাত হয়ে ডুবতে শুরু করে এম ভি মেরিন ট্রাস্ট। বন্দর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে তদন্ত করেছে। 

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, জাহাজের ডেকে কনটেইনারগুলো ঠিকমতো না রাখার ফলেই ভারসাম্য হারিয়ে কাত হয়ে গিয়েছিল। জাহাজে ১৬৫টি কনটেইনারের ওজন ছিল ৩ হাজার ৮৯ টন। 

১৮টি কনটেইনার চলে গিয়েছিল পানির নিচে। ১০টি ভাসছিল পানিতে। উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছিল ভাসমান ক্রেন। লকগেট থাকায় অবশ্য কনটেইনারগুলো ভেসে চলে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। ভেতরের পণ্য কতটা ঠিক থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। জানা গেছে, তার মধ্যে সুতা ও কনজিউমার সামগ্রী ছিল।

এম ভি মেরিন ট্রাস্ট নামের ওই জাহাজে মোট ১৮ জন বাংলাদেশি নাবিক ছিলেন। বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই জাহাজ থেকে তাদের উদ্ধার করে। কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।

জাহাজটি যেখানে আধডোবা অবস্থায় পড়ে ছিল, সেখানে পানির গভীরতা ছিল সাত মিটার। আপাতত জাহাজটি ভাসছে। মালিক জাহাজ ফেরত নিচ্ছেন। জানা গেছে, উদ্ধার কাজের টাকা দিতে হবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
 
আরএইচ