ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইজিয়ামে একটি গণকবরের সন্ধান পেয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। নতুন সন্ধান পাওয়া এই গণকবরের ভেতরে ৪৪০টি মরদেহ রয়েছে। ইজিয়াম শহরটি রাশিয়ার দখলে ছিল এবং সম্প্রতি পাল্টা হামলা চালিয়ে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে শহরটি দখলে নেয় ইউক্রেন।

ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, গণকবরে থাকা নিহতদের অনেকে গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন। শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সপ্তাহখানেক আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর তীব্র হামলার মুখে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনের খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ামে নিজেদের প্রধান ঘাঁটি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয় রাশিয়া। ইউক্রেনের এই অঞ্চলটি চলমান যুদ্ধের প্রধান ফ্রন্ট লাইনগুলোর একটি।

চলমান সামরিক অভিযানে ইজিয়ামকে লজিস্টিক বেস হিসাবে ব্যবহার করছিল রাশিয়ান বাহিনী। এখান থেকেই রুশ সেনারা দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাস অঞ্চলে কয়েক মাস ধরে আক্রমণ পরিচালনা করে আসছিল।

তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ব্যাপক হামলায় গত সপ্তাহান্তে হাজার হাজার রুশ সৈন্য ইজিয়াম থেকে পালিয়ে যায়। তারা বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম ফেলে রেখে যায়। এরপর থেকে শহরটি ইউক্রেনের অধীনে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘(রাশিয়ানদের) কাছ থেকে মুক্ত করার পর ইজিয়ামে বেশ কয়েকটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে। সন্ধান পাওয়া বৃহত্তম সমাধিস্থলে ৪৪০টি অচিহ্নিত কবর রয়েছে।

খারকিভ অঞ্চলের প্রধান পুলিশ তদন্তকারী সের্হি বলভিনভ স্কাই নিউজকে বলেছেন: ‘(গণকবরে যেসব মানুষের মৃতদেহ রয়েছে, তাদের) কেউ কেউ গোলাবর্ষণে মারা গেছে... কেউ কেউ বিমান হামলার কারণে মারা গেছে।’

রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে ইউক্রেনের এই দাবি যাচাই করতে পারেনি এবং রাশিয়ার পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাশিয়া বেসামরিক নাগরিকদের টার্গেট করা বা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।

টিএম