পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান হুমকি দিয়ে বলেছেন, তাকে যদি কারাগারে পাঠানো হয়, তাহলে তিনি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবেন। একই সঙ্গে দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সন্ত্রাসবাদের মামলার শুনানির সময় বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন 

গত ২০ আগস্ট দলীয় সমাবেশে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের এক নারী বিচারককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খানের বিরুদ্ধে  সন্ত্রাসবাদের মামলা দায়ের হয়েছে। ইসলামাবাদের সদর ম্যাজিস্ট্রেট আলী জাভেদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে অংশ নিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে ইসলামাবাদের হাইকোর্টে যান ইমরান খান। ওই দিন দুপুর থেকে আদালতে শত শত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয় বলে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে।

ইমরান খান বানিগালার বাসভবন ছাড়ার আগেই পিটিআইয়ের কয়েকজন নেতা আদালতে পৌঁছান। কিন্তু রেজিস্ট্রারের অফিসের সরবরাহ করা তালিকায় নাম না থাকায় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা পিটিআইয়ের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী, শেহজাদ ওয়াসিম ও অন্যান্যদের আদালতে প্রবেশে বাধা দেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান আদালতে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে বেশি কথা বলতে রাজি হননি তিনি। কারণ হিসেবে বলেন, তার মন্তব্যকে আদালত ভুলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি মন্তব্যের একটি প্রেক্ষাপট আছে। দেশ দিন দিন পেছনের দিকে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিবেদন তা দেখিয়েছে। তারা যা খুশি করতে পারেন। চলমান অস্থিতিশীলতার একমাত্র সমাধান নতুন নির্বাচন।’

আদালত অবমাননার মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান বলেন, তিনি নারী বিচারক সম্পর্কে আদালতে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাকে কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। 

এছাড়া দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতা নওয়াজ শরীফের ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তার সঙ্গে গোপন সাক্ষাতের খবর নাকচ করে দিয়েছেন ইমরান খান। সন্ত্রাসবাদের মামলায় সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে জামিনে আছেন। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর তার জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

এসএস