গত তিন দশক ধরে শুকনো ছিল দক্ষিণ ভারতের অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি শহর বেঙ্গালুরুর দক্ষিণা পিনাকী নদী। এই বর্ষায় সেই শুকিয়ে যাওয়া নদী আচমকা জেগে উঠেছে। যার ফলে বানভাসি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরু শহরে। অতি বৃষ্টির ফলে সেই নদী ফের প্লাবিত হয়ে যায়। নদী-সংলগ্ন ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ ভেসে যায় পানির তোড়ে। ফলে, প্লাবিত হয়ে যায় ভারতের সিলিকন ভ্যালি।

শহর ভেসে যাওয়ায় সংলগ্ন চন্নাসান্দ্রা মেইন রোডও ডুবে যায়। এই রাস্তা দিয়েই সবজি ও জ্বালানির মতো যাবতীয় জিনিসপত্র শহরে প্রবেশ করে। রাস্তা ভেসে যাওয়ায় শহরে দেখা দিয়েছে দৈনন্দিন জিনিসপত্রের আকাল। ওই রাস্তার পার্শ্ববর্তী ২৫টি গ্রামও ভেসে গেছে। ইতিমধ্যেই ওই রাস্তা দিয়ে টু-হুইলার ও হালকা মোটরযান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। 

ইতোমধ্যেই অনেক বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে আরও ৫ দিনের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর। সবমিলিয়ে চরম দুর্ভোগে বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা।

বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড, আউটার রিং রোড, ওল্ড এয়ারপোর্ট রেড, কারমাংলা রোডে কোমর পর্যন্ত পানি। ফলে হোটেলগুলোতেও জায়গা মিলছে। একটানা ১০-১৫ দিনের জন্য ঘর বুক করে রাখা হয়েছে বলে জানাচ্ছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। 

বর্তমানে পরিস্থিতি বিপদসংকূল হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে কর্নাটক সরকার। বেশ কিছুদিন ধরে বিপুল বৃষ্টি হচ্ছে কর্নাটকে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঠে নেমেছে প্রশাসন। বৃষ্টির কারণে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক সরকার।

ওএফ